অভিমত

সরকারের গন্তব্যহীনতা ও লালনের শিক্ষা

গত ২৬ অক্টোবর নিউইয়র্ক শহরে অনুষ্ঠিত হলো লালন উৎসব। পুঁজিবাদের স্বর্গভূমিতে ফকির লালনকে ঘিরে ব্যাপক সাংস্কৃতিক সঞ্চালন ও আলোচনা সভা ভাবাই যায় না।

গত ২৬ অক্টোবর নিউইয়র্ক শহরে অনুষ্ঠিত হলো লালন উৎসব। পুঁজিবাদের স্বর্গভূমিতে ফকির লালনকে ঘিরে ব্যাপক সাংস্কৃতিক সঞ্চালন ও আলোচনা সভা ভাবাই যায় না। যে শহরে বাঙালিরা অর্থের পেছনে ছুটতে বাধ্য হয় কিংবা অনেকে টাকাপয়সা বানানোকেই জীবনের পরমার্থ মনে করে অথবা যেখানে ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুদ্রা পাচারকারীরা এসে ভিড় জমায় সেই মহানগরীতে পরিচ্ছন্ন বাঙালির এক বিশাল জনগোষ্ঠীও বাস করে। নববর্ষ, বইমেলা, পঞ্চকবির স্মরণ কিংবা লালনোৎসব তার প্রমাণ।

তবে আয়োজক গোপাল সান্যাল জানালেন যে এসব উৎসবে কেউ অর্থদাতা হতে চান না। অন্যতম আয়োজক মিনহাজ সাম্মু আমাকে লালনবিষয়ক আলোচনায় আমন্ত্রণ দিলেন। আলোচক ছিলেন ড. সেজান মাহমুদ ও কমরেড জাকির হোসেন। তাদের মধ্যে সেজান মাহমুদের গাড়ির চাকা পথিমধ্যে ফেটে যাওয়ায় তার অবস্থা অনেকটা বর্তমান সরকারের মতো হয়ে পড়ল। গন্তব্যে আর পৌঁছা হলো না। মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও বাঙালি সংস্কৃতির সংকট নিয়ে চমৎকার বক্তব্য দিলেন জাকির হোসেন।

লালনকে নিয়ে যে সুন্দর আবৃত্তির অনুষ্ঠানও হতে পারে তা প্রমাণ করলেন শিল্পী লুৎফুন নাহার লতা। তার স্বামী মার্ক ওয়েনবার্গ লালনগীতির ইংরেজি অনুবাদ আবৃত্তি করে তুলে ধরে যারা বাংলা বোঝেন না তাদের সমৃদ্ধ করলেন। উদ্বোধনী সভায় ছিলেন শিল্পী নীনা হামিদ, ড. নুরুন নবী প্রমুখ ব্যক্তি। সবার নাম এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। মূল কথা হচ্ছে লালনের শিক্ষা পশ্চিমে আজ গবেষণার বিষয় হলেও বাঙালিরা তা কতটুকুই বা গ্রহণ করতে পেরেছে। পারেনি, বিশেষত আমাদের বর্তমান সমাজের কর্তাব্যক্তিরা পারেননি। পারলে তারা ‘দিন থাকিতে দ্বীনের সাধন’ করতেন।

এ তিন মাসেই সরকার সবকিছু করে ফেলবে তা প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু জন মিলটনের কথায় ‘প্রভাতে দিনের পরিচয়’ যদি সত্য হয় তাহলে বলতে হবে যে সরকার শৃঙ্খলা বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি হ্রাসের প্রধান দুই লক্ষ্যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে রাজনৈতিক উসকানি বাড়িয়ে। তাদের জন্য যে ‘দ্বীনের সাধন’ ফরজ তা তারা করছে না।

কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়াবাড়িতে পুলিশ, প্রশাসন আর সেনাবাহিনী দিয়ে কিছুদিন আগে হয়ে গেল লালনোৎসব। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল। প্রবাস থেকেও লালনভক্তরা ইউটিউবের কল্যাণে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে। কিছুদিন আগে আখড়া ও মাজার ভাঙার উন্মাদনা শুরু হলেও ভক্তরা ভয় পায়নি। কারণ লালন সহজিয়া মানুষের সাধনা করলেও প্রতিবাদে পিছপা হননি। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কথায় লালন প্রয়োজনে একতারা ফেলে লাঠিও হাতে তুলে নিতে কসুর করেননি। বন্ধু কাঙাল হরিনাথকে জমিদারের অত্যাচার থেকে বাঁচিয়েছেন।

১৭৭৪ সালে জন্ম নেয়া লালন মারা যান ১৮৯০ সালে। ১১৬ বছর বেঁচে ছিলেন সহজ জীবনে জাতপাতহীন মানবধর্ম প্রচার করে। তবে অন্য ধর্মপ্রচারকের মতো তিনি তার মতবাদ প্রচারে নামেননি। মানুষই আকৃষ্ট হয়ে তার আখড়ায় এসেছে। হাজার খানেক গানের মধ্য দিয়ে ফকিরি আধ্যাত্মবাদ ও মানবতার কথা প্রচার করেছেন। বলেছেন, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, কিংবা ‘সহজ মানুষ ভজে দেখনা রে মন দিব্যজ্ঞানে’।

এত কিছুর পরও লালন বাস্তববাদী মানুষ। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘ভাবের লালন ভবের লালন’। লালনের কথায় ‘শুনি মলে পাব বেহেস্তখানা/ তা শুনে তো মন মানে না/ বাকির লোভে নগদ পাওনা কে ছাড়ে এ ভুবনে’। এ-জাতীয় অজস্র কথায় লালন হয়েছেন একদিকে ইহজাগতিক অন্যদিকে মানবিক। দার্শনিক লিও টলস্টয় তার বিখ্যাত ‘থ্রি কোয়েশ্চেন্‌স’ গল্পে প্রকাশ করেছেন যে বর্তমান হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। লালন এই ভাবকে আরেকটু ঔচিত্যবোধক কথায় নিয়ে বলেছেন, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’। আমাদের রাজনীতিকরা এ থেকে শিক্ষা নিলে ভালো করতেন। রবীন্দ্রনাথ লালনকে কবি হিসেবে নয়, বরং দেখেছেন দার্শনিক হিসেবে। তিনি ১৯২৫ সালে ভারতীয় দর্শন সম্মেলনে এবং ১৯৩০ সালে অক্সফোর্ডের এক ‘মানবধর্ম’ শীর্ষক বক্তৃতায় লালন ও হাসন রাজার কথা তুলে ধরেন।

লালন অবশ্য কোনো ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য গান লেখেননি। তবে আমার কাছে লালনের একটি পঙ্‌ক্তি যেকোনো ক্ষমতাবান মানুষের জন্য বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। কথাটি হলো ‘না জানি কোন্‌ সময় কোন্ দশা ঘটে আমারে/ বসবো এমন সাধুর সাধ-বাজারে/ আমি আর কি বসবো এমন সাধুর সাধ-বাজারে’। বিগত আওয়ামী সরকার যদি এর সব ‘অটোপাস’ এমপি-মন্ত্রীদের মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান করে লালনগীতি শোনাত, তাহলে তাদের লুণ্ঠন উন্মাদনা হয়তো কিছুটা কমত। জাতির উপকার হতো।

আওয়ামী সরকারের জামাই আদরপ্রাপ্ত চাটগাঁয়ের ‘ব্যাংকখেকো আওলিয়া’ বা ঢাকার ‘ব্যাংকলুটেরা দরবেশ’-জাতীয় রাক্ষসদের সামনে মাসে একবার করে লালনের গান শোনানো উচিত ছিল। লুটেরাদের চরিত্রশুদ্ধির স্বার্থে সরকারি খরচে লালনগানের থেরাপি দেয়া উচিত ছিল। তাদের শোনানো যেত ‘কারো রবে না এ ধন জীবন যৌবন/ তবে কেন মন এত বাসনা/ একবার সবুরেরই দেশে বয় দেখি দম কষে’। আয়নাঘর বা ভাতের হোটেলের বিচিত্র যন্তর-মন্তরের চেয়ে মিউজিক থেরাপি অনেক বেশি স্থায়ী ও কার্যকর।

লালন ছিলেন সর্বার্থেই একজন ভাবুক ফকির। কিন্তু তিনি গন্তব্যহীন ছিলেন না। বর্তমান সরকারের বেশকিছু কার্যক্রম দেখে মনে হয় এটি অনেকটা গন্তব্যহীন হয়ে পড়েছে। নজরুলের লেখায় আমরা দেখেছি যে বনানী-কুন্তলা ষোড়শী বনের বুক চিরে বেরিয়ে এসে পথহারা পথিককে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?’ একই প্রশ্ন আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে যে সরকার কি পথ হারিয়েছে। কী দেখে তা মনে হলো? এর রাষ্ট্র সংস্কারের নমুনা দেখে দিনে দিনে খসিয়া পড়িছে রঙ্গিলা দালানের মাটি। আইন উপদেষ্টা বললেন, সরকার এখন নির্বাচনমুখী হয়েছে। কেন এই অকালবোধন? কথা তো ছিল আগে রাষ্ট্র সংস্কার, তারপর নির্বাচন।

শুধু নির্বাচন দিতে এ সরকার আসেনি। জনতা তা চায়নি। হঠাৎ উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়ল কেন? রবীন্দ্রনাথ ‘শেষের কবিতা’য় বলেছেন, দুর্বলের শাসন বড় ভয়ংকর। কী অর্থে তিনি তা বলেছেন বোঝা কঠিন। তবে দুর্বলের শাসন যে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এ বিশৃঙ্খলাই অর্থনীতির বারোটা বাজাচ্ছে এবং আরো বাজাবে। শেয়ারবাজার তার প্রতিফলন। ব্যাংক খাত অনেকটা স্থবির। নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে না। উচ্চ সুদে তা আরো ব্যাহত হওয়ার কথা। মূল্যস্ফীতি দমনে উচ্চ সুদহার অবশ্যই অনিবার্য। কিন্তু এটি বড় অসময়ে বেড়েছে। কারণ গত সরকারের আমলে নয়-ছয় সুদহারের বেড়াজালে যথাসময়ে সুদ বাড়ানো হয়নি মূলত ধনিকতুষ্টির অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে।

সরকার কেন গন্তব্যহীন? লালনের কথায় ‘চাতক বাঁচে কেমনে/ মেঘের বরিষণ বিনে’। এ বরিষণ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা। জনমত যাচাইয়ের সঠিক জরিপ হলে দেখা যেত যে সরকারের জনসমর্থন আগস্টের মাত্রা থেকে এখন হয়তো অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। এ সমর্থন সেপ্টেম্বর পর্যন্তও ভালোই ছিল। কিন্তু সরকারপ্রধানের সেই ‘রিসেট বাটন’-এ টিপ দেয়ার পর থেকেই সব সমন্বয়কের মধ্যে নানা বোতামে টিপ দেয়ার ধুম পড়ে গেছে।

সরকারের একের পর এক প্রতিহিংসামূলক এবং কখনো বালখিল্য অস্থির আচরণে মানুষ ক্রমান্বয়ে মোহমুক্ত হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা দিতে আসা রাজশাহীর একজন ছাত্রীকে ধরে হেনস্তা করার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রশাসন ও সমন্বয়করা খোদ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে যে চৌকস ‘দক্ষতার’ পরিচয় দিতে পেরেছেন সে রকম একটি দৃষ্টান্তও জাতি দেখেনি কোনো ঋণখেলাপি বা মুদ্রা পাচারকারীকে ধরার ক্ষেত্রে। এ-জাতীয় বীরত্বের কাজ ভালো রুচির পরিচয় বহন করে না। নিজের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়েও ছাত্রীটি যে পরীক্ষা দিতে এসেছে, এজন্য তাকে শিক্ষা বিভাগ থেকে মেডেল দেয়া উচিত ছিল। এ যুগে ছাত্ররা আজ অধ্যয়নবিমুখ হয়ে পড়েছে। শিক্ষাঙ্গন অস্থির।

মূল্যস্ফীতির অনমনীয়তা ও বেকারত্বের মতো বিষয়ের কোনো কৌশলগত সমাধানে সরকার তৎপর নয়। সরকার নিজেই তার প্রাথমিক প্রতীজ্ঞা থেকে সরে এসেছে। কথা ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়া হবে। আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে পরিসর দেয়নি। ওরা যা যা করেছে সেগুলো ‘নতুন’ বাংলাদেশে আর হবে না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক সব কাজই অক্কাপ্রাপ্তির আগে আওয়ামী বিধিবিধানের অনুলিপি বলে মনে হচ্ছে। জামায়াত নিষিদ্ধের স্টাইলে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হলো। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী, নাকি সরকার সমর্থিত সব ছাত্রসংগঠন বরাবরই সন্ত্রাসী, সে কথা ভাবা হলো না। ইতিহাস কী বলে? শুধু ছাত্রলীগ বাদ না দিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরো ছাত্ররাজনীতি বাদ দিলে বোঝা যেত যে সরকার প্রতিশ্রুত রাষ্ট্র সংস্কারে এক ধাপ এগিয়ে গেল। পৃথিবীর যেসব দেশে শিক্ষার মান উন্নত হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টাইলে ছাত্ররাজনীতি হয়? বৈশ্বিক সূচকে তাই তো এত অধঃপতন।

নবনির্বাচিত উপাচার্য বলেছেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে, তবে লেজুড়বৃত্তি থাকবে না। শেক্সপিয়রের ‘ভেনিসের সওদাগর’ গল্পে আইনজীবী এ রকম শর্ত জুড়ে দেন প্রতিহিংসাপরায়ণ শাইলকের জন্য। ঋণ প্রদানের অক্ষমতার জন্য অ্যান্টোনিওর গা থেকে শাইলক এক পাউন্ড মাংস কেটে নিতে পারবে, তবে এক ফোঁটাও রক্ত ঝরবে না। উপাচার্যের বচন অনেকটা এ রকমই লাগল। ছাত্র রাজনীতি থাকলে লেজুড়বৃত্তি থাকবেই। প্রচলিত ছাত্ররাজনীতি না থাকলে ছাত্ররা অসচেতন হয়ে পড়বে, এটি ভুল ধারণা। কোটা আন্দোলনসহ বড় বড় প্রতিবাদ লেজুড়বৃত্তির ছাত্রসংগঠনের দ্বারা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোয় গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতি না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল সমর্থনের প্রতিবাদ হয়েছিল প্রধানত ছাত্রদের দ্বারাই।

রাষ্ট্রপতিকে সরানো জরুরি কিসের স্বার্থে? গণতন্ত্রের উত্তরণ, মূল্যস্ফীতি দমন, নাকি বিপ্লবের নব সংজ্ঞায়ন? যারা বিপ্লবের দাবি করেন তারা কি ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব কিংবা ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের সঙ্গে নিজেদের ইতিহাসের মিল খুঁজে পেয়েছেন? হঠাৎ করে ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রিট আবেদন এবং পরদিনই তা প্রত্যাহার, এসব থিয়েটার অস্থিরতা ও অপরিপক্বতার নজির। এগুলো গণ-অভ্যুত্থানোত্তর প্রতিজ্ঞার সঙ্গে শুধু সাংঘর্ষিকই নয়, উপরন্তু উল্টোযাত্রার নিদর্শন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যত দুর্বল তার চেয়ে বেশি দুর্বল সরকারের ভাবমূর্তি। শুধু পরিবেশ উপদেষ্টা আর গভর্নরের কাজ থেকে বোঝা যায় যে তারা অর্থনীতি ও পরিবেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে চান, যেগুলো নির্বাচিত কোনো সরকার স্বল্পমেয়াদি স্বার্থের কারণে হাতে নেবে না।

জাতির জন্য ‘পরিবারতত্ত্ব’ প্রদান করে সরকারপ্রধান এখন প্রতিদিনই পরিবারে ত্যাজ্যপুত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে চলছেন। এতে অস্থিরতা বাড়ছে, যা অর্থনীতিকে পথে বসাবে। তখন কোনো তত্ত্বেই আর কাজ হবে না। লালনের কথায় ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়/ একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়’। অপরিপক্ব গণতন্ত্রের যেকোনো দেশের সরকারকেই লালনের এ শিক্ষা মনে রাখতে হবে। গন্তব্য ঠিক রেখে অন্তর্বর্তী সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবমূর্তি উন্নত করে আরো পেশাদারত্বের সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ দেবে—এটিই জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিজ্ঞা ও প্রত্যাশা।

ড. বিরূপাক্ষ পাল: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ডে অর্থনীতির অধ্যাপক

আরও