গত ৫ আগস্ট
বাংলাদেশে ব্যাপক জনবিস্ফোরণ দেখা দেয়। আপামর জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য
হন দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর মসনদ দখলে রাখা কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা। অবসান ঘটে দেড়
যুগ ধরে চলা স্বৈরশাসনের। ঐতিহাসিক এ ঘটনাকে অনেকে ছাত্র-জনতার ‘বিপ্লব’ মনে করলেও
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা একে সংজ্ঞায়িত করেছেন অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার
বিরুদ্ধে ‘গণ-অভ্যুত্থান’ হিসেবে।
এর আগে
শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের মাঝে ক্ষোভের সূচনা হয়েছিল গত ৫ জুন; সরকারি চাকরির
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা
করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের মাধ্যমে। এর প্রতিবাদে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে
প্রতিবাদ জানাতে থাকে। পরে ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে চার দফা দাবিতে লাগাতার
কর্মসূচির ঘোষণা দিলে প্রতিবাদ ব্যাপক আকার ধারণ করে। জুলাইয়ের প্রথম দিকে বিক্ষোভ,
মানববন্ধন, গণপরিবহন বন্ধ, মহাসড়ক অবরোধ, পদযাত্রা, স্মারকলিপি প্রদানের মধ্যেই তাদের
কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির বিপরীতে অনেকটা অনমনীয় অবস্থান নেন
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী-এমপিরা। সরকারের
দায়িত্বহীন, দাম্ভিক ও অবজ্ঞাপূর্ণ এসব মন্তব্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার
করে। দাবি আদায়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির নামে সারা দেশ অচল করে দেন তরুণরা। অন্যদিকে
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক
ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। মধ্য জুলাই পর্যন্ত ছাত্রদের আন্দোলন অনেকটা এ রকমই চলছিল।
অবস্থার বেগতিক হতে থাকে ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
আবু সাইদ নিহত হওয়ার পর থেকে। আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়ন ও হত্যার
প্রতিবাদে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কিংবা ‘সর্বাত্মক অবরোধ’-এর মতো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকে যতই দিন যায় ততই বাড়ে লাশের মিছিল; সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে সরকার।
ক্রমেই এ আন্দোলনে যুক্ত হতে থাকেন ছাত্রদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক
ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। এক পর্যায়ে সরকারের সুর নরম হয়ে এলেও দাবি আদায়ে অনড় থাকেন আন্দোলনের
সমন্বয়করা। শত শত শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য প্রথমে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের পদত্যাগের
দাবি একটা সময় সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচিতে পরিণত হয়। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট এক দফা
দাবির অংশ হিসেবে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করলে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন স্বৈরাচারী
হাসিনা। এর মাধ্যমে দেড় দশকের একদলীয় শাসনের অবসান ঘটে।
ঐতিহাসিক
এ ঘটনাকে গণ-অভ্যুত্থান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনীতি
বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্রোহ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব প্রত্যয়গুলো একই রকম মনে হলেও এদের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন
বিদ্রোহ বলতে বোঝায় সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ; এবং অত্যাচার
ও শোষণের বিরুদ্ধে মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এর ফলে সরকার
পরিবর্তন হয় না, নামমাত্র প্রশাসনিক সংস্কার হয়। এদিকে অভ্যুত্থানের ধারণা বিদ্রোহ
থেকে ব্যাপকতর। জনগণ যখন রাষ্ট্রযন্ত্রের বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেদের হাতে ক্ষমতা
নিয়ে আসে এবং সেখানে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়, তখনই একে গণ-অভ্যুত্থান
বলে। যেখানে সমাজ বা রাষ্ট্রের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা
প্রকাশ করা হয় এবং পরিবর্তনের জন্য রাজপথে নেমে পড়ে। গণ-অভ্যুত্থান হঠাৎ করে ঘটে। তাই
সরকারের নীতি বা শাসন এখানে গুরুত্ব পায় না; ক্ষমতা লাভই এখানে সর্বাধিক প্রাধান্য
পায়। অন্যদিকে বিপ্লব কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বলে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কোনো স্বৈরাচারী
নীতির বিরুদ্ধে অথবা ঘুণে ধরা আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের সমগ্র
অংশের বিক্ষোভের নাম বিপ্লব। এটা কোনো একটা দেশ বা কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না; এক
দেশ থেকে উত্থান হয়ে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বহুদিন পর্যন্ত এর অস্তিত্ব বজায় থাকে।
বিশ্লেষকদের
মতে, শিক্ষার্থীরা প্রচলিত কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন সূচনা করে, যা একটি বিদ্রোহ।
তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় শেষ পর্যন্ত এটি গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে, বিপ্লব নয়।
সমাজের একটা অংশ, কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্দোলন করলে তাকে বিদ্রোহ বলা হয়। এতে
সরকার পরিবর্তনের দাবি থাকে না। তবে বিদ্রোহ থেকেই গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা হয়। বিপ্লব
বলা যাবে তখন, যখন কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে। একটা কথা আছে—সব বিপ্লবই আন্দোলন, কিন্তু
সব আন্দোলন বিপ্লব নয়। প্রথম দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল বিদ্রোহ। পরে সরকারের পদত্যাগ
দাবি করায় একে বলা যেতে পারে গণ-অভ্যুত্থান। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়
পর্যায়ে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হলে একে বিপ্লব বলা যেতে পারে। এজন্য আমাদের
অপেক্ষা করতে হবে যে তারা কোনো পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয় কিনা। একে গণ-অভ্যুত্থান বলার
কারণ প্রথমত, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয় তাদের অভিভাবক ও শ্রমিক শ্রেণীসহ সব শ্রেণী-পেশার
মানুষ। দ্বিতীয়ত, ঢাকা কেন্দ্রিক না থেকে এ আন্দোলন সারা দেশের জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে
পড়ে। তৃতীয়ত, এ আন্দোলনের মাধ্যমে কোটার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেকে সরকার পরিবর্তনের এক
দফায় পরিণত হয়েছে। তবে এ গণ-অভ্যুত্থানের নির্দিষ্ট একটা পক্ষ কিংবা রাজনৈতিক চরিত্র
নেই। যেমনটি ছিল ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের। তাই রাজনৈতিকভাবে কী পরিবর্তন
আসবে বা এর লক্ষ্য কী হবে সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা বা ইশতেহার অনুপস্থিত। মূলত ২০২৪-এর
গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অনিয়ম-অনাচারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত
নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে, অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার বিরুদ্ধে।
তবে এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থানের নায়কদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে অনুমান করা যায়, সবার আকাঙ্ক্ষা
রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিনির্মাণ
করা।
এদিকে
উদারনৈতিক গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের যাত্রা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা। টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কার না করতে
পারলে আবারো একনায়কতন্ত্র ফিরে আসতে পারে বলে তারা দাবি করেছেন। কেননা ১৯৭২ সাল থেকে
যে শ্রেণীগত শাসন চলে আসছে, সেখানে প্রত্যেকটি শাসন ব্যবস্থা ছিল ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক।
১৯৭৫ সালের আগে শেখ মুজিবের আওয়ামী-বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম ছিল। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জিয়াউর
রহমান ও এরশাদের সামরিক শাসন ছিল। এরপর খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার বেসামরিক স্বৈরশাসন
প্রতিষ্ঠা করেছিল। এভাবে বাংলাদেশের জনগণ একের পর এক ফ্যাসিস্ট সরকার শাসন দেখেছে।
রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ফ্যাসিবাদী উপাদানের উপস্থিতি গণতন্ত্র বার বার বিপন্ন হচ্ছে। এ
বিষয়ে বর্ষীয়ান রাষ্ট্র চিন্তাবিদ, তাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর এক সাক্ষাৎকারে
বলেন, ‘এটি (হাসিনার ফ্যাসিবাদ) চলে যাওয়ার পর সাধারণ মানুষের ধারণা হতে পারে যে তারা
স্বাধীন হয়ে গেল; মুক্ত হয়ে গেল। এ অবস্থা আর ফিরে আসবে না। এটি কিন্তু ঠিক নয়। কিছু
কিছু ক্ষেত্রে জনগণ অবশ্য স্বাধীনতা ভোগ করবে। কারণ এত কিছুর পর যারা আসবে তারা সঙ্গে
সঙ্গেই এমন কোনো নির্যাতন আর করতে পারবে না। কিন্তু পরবর্তীকালে দেশের যে অবস্থা তাতে
আবার যে শোষণ, নির্যাতন, জেলে দেয়া, নিরাপত্তা আইনের দরকার হবে না, তা নয়। এই যে জাতীয়
সংসদের ৭০-৮০ শতাংশ ব্যবসায়ী শ্রেণী তারা তো চলে যাবে না। তাদের এ আন্দোলনের মাধ্যমে
তাড়িয়ে দেয়া যাবে না। তারা রয়েছে। তারা নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী ভবিষ্যতে শাসনকার্য
পরিচালনা করবে। কাজেই ওইদিক থেকেও বাংলাদেশ যে একেবারে স্বাধীন হয়ে গেল তা কিন্তু নয়।
শেখ হাসিনার মতো একজন ক্রিমিনাল ও ফ্যাসিস্টকে তাড়িয়ে দেয়ার পর মানুষ মনে করছে এটি
স্বস্তির এবং তা চিরকাল থাকবে। এটি মনে করার কোনো কারণ নেই।’
ফ্যাসিবাদ
ফিরে আসার জন্য অসংখ্য উপাদান আমাদের সংবিধান, রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিদ্যমান।
যেমন একজন ব্যক্তি যতবার ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন। আমি মনে করি, একই
ব্যক্তি বার বার প্রধানমন্ত্রী হলে তার স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। আবার
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে কোনো ভারসাম্য নেই। প্রধানমন্ত্রীই সর্বময়
ক্ষমতার অধিকারী, রাষ্ট্রপতি পদ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয়
প্রধান, সরকারপ্রধান এবং জাতীয় সংসদ নেতা। ৭০ অনুচ্ছেদের মতো একটি ধারাও সংবিধানে রয়েছে।
এসব কিছু কর্তৃত্ববাদকে সুযোগ করে দেয়। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে
কাঠামোগত পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো গত ১৫ বছরে অবস্থার অবনতি
হয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধাভোগী শ্রেণী রাষ্ট্র ও সমাজে জায়গা করে
নিয়েছে। এসব ভেঙে দিতে আমাদের সময় নিতে হবে। যদি এসবের সংস্কার হয়, তবেই গণ-অভ্যুত্থানের
লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে। এজন্য আইনের পরিবর্তন যেমন লাগবে
তেমনি জনসাধারণের মানসিকতারও পরিবর্তন দরকার। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অন্যান্য সংগঠনের
নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বোপরি বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে
হবে।’ এসব পরিবর্তন রাতারাতি আনা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
ছাত্রবিদ্রোহ
থেকে সৃষ্ট এ গণ-অভ্যুত্থানের পূর্ণ সুফল পেতে এবং সম্ভাব্য ফ্যাসিবাদকে রুখতে রাষ্ট্রীয়
কাঠামোয় সংস্কার অতীব জরুরি। করপোরেট গ্রুপ, ধনিক শ্রেণী, বহুজাতিক গোষ্ঠী, স্বৈরাচারের
দোসরদের হাত থেকে রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে আনতে হলে পুরো গণতান্ত্রিক রূপান্তর
দরকার। মনে হতে পারে অনেক কাজ; কিন্তু না। রাষ্ট্রের সব উদ্যোগের কেন্দ্রে জনগণকে রাখলেই
সংক্রিয়ভাবে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এতদিন কেন্দ্রে ছিল বৃহৎ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এবং সামরিক
ও বেসামরিক আমলারা। এ তিন গোষ্ঠীর কারণে রাষ্ট্রে অগণতান্ত্রিক, নিপীড়নমূলক ও জবাবদিহিহীন
ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এদের দাপট কমাতে পারলে গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব। এক্ষেত্রে
সংবিধান, আইন-কানুন, শিক্ষা, চিকিৎসা, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক, অর্থনৈতিক
নীতিমালা, পরিকল্পনাসহ সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
আনিসুর রহমান: প্রতিবেদক, বণিক বার্তা