হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। হঠাৎ আবারো দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বন্দরের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমদানি কমার কারণে সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে পণ্যটির।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা। হঠাৎ আবারো দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বন্দরের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আমদানি কমার কারণে সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে পণ্যটির।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে বন্দর দিয়ে সাউথ ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম বাড়তির দিকে। সাউথ জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে ৮৫ থেকে বেড়ে বর্তমানে কেজিপ্রতি ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজের দর উঠেছে ৮০-৮৫ টাকায়, যা একদিন আগেও ছিল ৭০ টাকা।

এদিকে হিলির কাঁচাবাজারে খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। কিছুটা নিম্নমানের বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজিতে। দুদিন আগেও এসব জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে দেশীয় পেঁয়াজ আগের মতোই ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘‌আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। আমদানি কমার কারণে দুদিন ধরে বন্দরেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বেশি দামে কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার ইলিয়াস আলী বলেন, ‘‌দাম কিছুটা কমার খবরে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি কেজিতে ১০ টাকার মতো দাম বেড়ে গেছে। এতে প্রতি ট্রাকে আমাদের আড়াই লাখ টাকা করে বেশি লাগছে। হরতাল-অবরোধের কারণে ট্রাক ভাড়াও বেড়ে গেছে। খরচ বেড়ে গেলে আমাদের আয় কমে যায়।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, ‘‌ভারত সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ২০০-৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। বেশি ডলার লাগায় দেশে ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে পারছি না। একটি এলসি দিলেও পুনরায় এলসি নেয়ার জন্য গেলে ব্যাংক সাতদিন পর যোগাযোগ করতে বলে। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমদানির পরিমাণ চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই অনেকটা কমে গেছে। আগে বন্দর দিয়ে দৈনিক ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন গত শনিবার বন্দর দিয়ে মাত্র নয়টি ট্রাকে ২১৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পরের দিন এসেছে মাত্র পাঁচ ট্রাক। এতে ১৩৩ টন পেঁয়াজ এসেছে।’

আরও