দুবলার চরে রেকর্ড রাজস্ব আহরণ

সুন্দরবনের দুবলার চরে পাঁচ মাস পর শেষ হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। এরই মধ্যে সেখান থেকে লোকালয়ে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা।

সুন্দরবনের দুবলার চরে পাঁচ মাস পর শেষ হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। এরই মধ্যে সেখান থেকে লোকালয়ে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। প্রতি বছরই জেলেরা সেখানে গিয়ে ঘাঁটি গাড়েন। তারপর টানা পাঁচ মাস চলে বঙ্গোপসাগর থেকে নানা প্রজাতির মাছ আহরণ, শুঁটকি উৎপাদন ও বাজারজাত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও বেশি মাছ আহরণ হওয়ায় এবার সেখান থেকে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে বন বিভাগ।

দুবলার চর সুন্দরবনের একটি সংরক্ষিত এলাকা। সেটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগ। জেলেরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করলেও দুবলার চরে অবস্থান করায় তাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করে বন বিভাগ। সাধারণত কেজিপ্রতি মাছ আহরণের জন্য জেলেদের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়।

সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, চলতি শুঁটকি মৌসুম শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ১ নভেম্বর, আর শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ। এ পাঁচ মাসে সেখানে প্রায় দেড় হাজার বহরের অধীনে ১০-১২ হাজার জেলে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করেছেন। এ বছর ৬ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৮৭১ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা অতীতের যেকোনো মৌসুমের চেয়ে বেশি। গত মৌসুমে দুবলা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

বন বিভাগের দুবলার চর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, সুন্দরবনে এখন ডাকাতের উৎপাত নেই। তাই জেলেরা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ আহরণ করতে পারেন।

আরও