নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডালের বাজার। অঞ্চলটিতে বুটের ডালের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা ও খেসারির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া চোনা বুটসহ অন্যান্য ডালের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল থেকে বেশি দামে সরবরাহ করায় তাদেরও এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যটি বিক্রি করতে হচ্ছে।
নিতাইগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে বর্তমানে বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪০ টাকায়। এক মাসে আগেও এ ডালের দাম ছিল ১০০ টাকা।
অঞ্চলটিতে খেসারি বেচাকেনা হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০২ টাকায়। একই ডাল গত সপ্তাহে বেচাকেনা হয়েছিল ৯২ টাকায়। সে হিসেবে মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে খেসারির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। নিতাইগঞ্জে চোনা বুটের দাম কেজিতে ১৩ টাকা বেড়েছে। এক মাস আগেও পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১২১ টাকা। বর্তমানে তা ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিতাইগঞ্জে খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এখানে গতকাল দেশী মুসর ডাল বেচাকেনা হয়েছে কেজিপ্রতি ১২০-১২১ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ১১৯-১২০ টাকা। দিল্লি সুপার মুসর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩৮ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও এটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৩৪ টাকা। সে হিসাবে দিল্লি সুপার ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা।
তবে অন্যান্য ডালের তুলনায় নিতাগঞ্জের বাজারে ডাবলির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল এটি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৬৩ টাকায়, ১০-১২ দিন আগেও যা ছিল ৭৫ টাকা। সে হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডাবলির দাম কেজিতে কমেছে ১২ টাকা। ১৫ দিনের ব্যাবধানে মুগডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডাল ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা জানান, বেশ কিছুদিন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক বড় ব্যবসায়ী সময়মতো এলসি খুলতে পারেননি। তাই বাজারে ডাল সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি আছে। এ কারণেই দাম বাড়ছে।