হিলিতে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা

দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে। কৃষকরা রসুন শুকিয়ে মজুদ রাখায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমেছে। এ কারণেই দাম বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে। কৃষকরা রসুন শুকিয়ে মজুদ রাখায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমেছে। এ কারণেই দাম বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। 

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বতর্মানে দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৩০-১৬০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা দরে। দাম বাড়ায় রসুনের বিক্রি কমে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা।

হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘‌রমজানে অন্যান্য সময়ের তুলনায় খরচ তুলনামুলক একটু বেশি হয়। এর মধ্যেই রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা করে বেড়েছে। এতে করে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের সংসারের ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গেছে। বাড়তি দামের কারণে চাহিদা থাকলেও এখন ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।’ 

হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘‌সপ্তাহের ব্যবধানে মোকামে রসুনের সরবরাহ কমায় দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। এর কারণ হলো আগে কৃষকরা খেত থেকে রসুন তুলেই বিক্রি করে দিচ্ছিলেন, যার কারণে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে ছিল। সেই সঙ্গে রসুন কাঁচা থাকায় দামের ওপর প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কৃষকরা মজুদ করতে খেত থেকে রসুন তুলে শুকাচ্ছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমতির দিকে। বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসতে পারে।’ 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘‌আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন হাট ও বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। কেউ যেন অহেতুক বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সেটি তদারকি করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় আর যদি সেটি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও