সাতক্ষীরায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে গমের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়াকে এর পেছনে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের বাণিজ্যিক মোকাম সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোমরা বন্দর দিয়ে গম আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে।
সুলতানপুর বড় বাজারের খুচরা গম বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাগর স্টোরে গতকাল গম বিক্রি হয় ৪২ টাকা কেজি দরে, যা দেড়-দুই মাস আগেও ৩৭-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম জানান, সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় দাম বেড়েছে শস্যটির। তবে নতুন গম বাজারে ওঠার পাশাপাশি ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হলে দাম কমে যাবে।
অন্যদিকে জেলার পাটকেলঘাটা বাজারের গম বিক্রয় ও আটা উৎপাদন মিল মেসার্স মুকন্দ ফ্লাওয়ারের স্বত্বাধিকারী গোবিন্দ সাধু জানান, ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি গমের দাম কিছুটা বেড়েছে। দেড়-দুই মাস আগে যে গম ৩৫-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৩৮-৩৯ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
ভোমরা বন্দরের গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সনসের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত সরকার গম রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। মূলত এ কারণেই ভোমরা বন্দর দিয়ে গম আমদানি বন্ধ আছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ২ হাজার ৫০০ টন উৎপাদন লক্ষ্য নিয়ে ৬৭৩ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০০ হেক্টর কম। গত মৌসুমে জেলায় ৭৬৩ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বণিক বার্তাকে জানান, শুধু গম নয়, অন্যান্য কৃষিপণ্যেরও অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গমের দাম বাড়ার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসন্ন রমজানে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা প্রশাসন সর্বদা বাজার মনিটরিং করছে।