বাংলাদেশ থেকে বীজ রফতানির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

কৃষির মূল উপকরণ হচ্ছে বীজ। বীজ উদ্ভিদ জগতের ধারক ও বাহক। বীজই ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বীজ বলতে আসলে অনেক কিছুই বোঝায়। ফসলের যেকোনো অংশ, দানা অথবা অঙ্গ যেটি অনুরূপ একটি ফসল পুনঃউৎপাদনে সক্ষম তাকেই বীজ বলে অভিহিত করা যায়। বীজ উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশের বীজ শিল্পের বহুল প্রচলিত স্লোগান হচ্ছে,

কৃষির মূল উপকরণ হচ্ছে বীজ। বীজ উদ্ভিদ জগতের ধারক ও বাহক। বীজই ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বীজ বলতে আসলে অনেক কিছুই বোঝায়। ফসলের যেকোনো অংশ, দানা অথবা অঙ্গ যেটি অনুরূপ একটি ফসল পুনঃউৎপাদনে সক্ষম তাকেই বীজ বলে অভিহিত করা যায়। বীজ উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশের বীজ শিল্পের বহুল প্রচলিত স্লোগান হচ্ছে, ‘ভালো বীজে ভালো ফসল’। ভালো বীজ মানে উন্নতমানের বীজ। বীজ সর্বদা জীবিত। পরিমিত আলো, বাতাস ও পানি পেলে অনুভূতিপ্রবণ হয়। অন্যদিকে খাদ্যশস্য জীবিত অথবা মৃত উভয়ই হতে পারে। বীজের মধ্যে সক্রিয় জীবনীশক্তি থাকা প্রয়োজন। খাদ্যশস্যের জীবনীশক্তি না-ও থাকতে পারে। বীজ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। বীজ গুদামজাতে সঠিক আর্দ্রতা প্রয়োজন। বীজ সংরক্ষণে আপেক্ষিক আর্দ্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধিতে পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বীজ নির্দিষ্ট সময়কাল অবধি সংরক্ষণ করা যায়। যদিও শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। যেকোনো পরিবেশে বীজ উৎপাদন করা যায় না। বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষি বা বীজ প্রযুক্তিবিদদের তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। এছাড়া গুণগত মানসম্পন্ন বীজ উদ্ভাবন ও উৎপাদনের জন্য উদ্ভিদ প্রজননবিদ, কৃষিতত্ত্ববিদ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ ও কীটতত্ত্ববিদের যৌথ ভূমিকা থাকে।

বাংলাদেশ থেকে বীজ রফতানির অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান রয়েছে। প্রথমত, গুণগত বীজের স্বীকৃতি। বীজের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে আইএসটিএ মান পূরণের জন্য কঠোর পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বীজের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষণাগার না থাকায় এসব সার্টিফিকেশন পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া পরীক্ষার সরঞ্জাম, সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষতার ভিন্নতার কারণে নানাবিধ পরীক্ষার ধারাবাহিকতা এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। সব ধরনের উদ্ভিদজাত পণ্য রফতানিতে ফাইটোস্যানিটারি রেগুলেশনস মেনে চলা বাধ্যতামূলক। আইপিপিসি নির্দেশিকা মেনে চলার মাধ্যমে বীজের মাধ্যমে কীটপতঙ্গ ও রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। এ প্রবিধানগুলো পূরণ করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। উপরন্তু আন্তর্জাতিক এসব নির্দেশিকা মানার জন্য জনবলের যথাযথ দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। নির্দেশিকা মেনে চলা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থা, বীজ উৎপাদনকারী, পরীক্ষাগার এবং শিপিং কোম্পানিসহ একাধিক স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সমন্বয় করা বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ বিষয়। অন্যদিকে এসব বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল হওয়ায় তা বাংলাদেশের বীজ রফতানির সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সঠিক বীজ পরীক্ষা, গুদামজাত এবং ফাইটোস্যানিটারি ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। বীজ রফতানিতে কঠোর প্রবিধান কখনো কখনো বাণিজ্য বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে। 

বাংলাদেশ ধান ও গম বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও ধানের হাইব্রিড জাতের বীজগুলোর জন্য অনেকাংশে বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া পাট বীজের উল্লেখযোগ্য অংশই ভারত থেকে আমদানি করা হয়। দেশে চাষকৃত ভুট্টার জাতগুলো হাউব্রিড প্রকৃতির এবং ভুট্টার বীজের উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। তবে তেলজাতীয় ফসল যেমন সরিষা, চীনাবাদাম, সয়াবিন, সূর্যমূখী, তিল, তিসি—এগুলোর বীজ দেশেই উৎপাদন করা হয়। এছাড়া ডাল ও মসলাজাতীয় ফসলের বীজ দেশে উৎপন্ন হয়। যদিও হাইব্রিড মরিচের বীজ বাইরে থেকে আনা হয়। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফুলের বীজ, ঘাসের বীজ প্রভৃতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আলুর বীজ বিদেশ থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশেও উৎপাদন হয়। ফলের মধ্যে তরমুজ ও পেঁপের হাইব্র্রিড জাতের বীজ অনেকাংশে বিদেশ থেকে আনা হয়। সবজি বীজের ক্ষেত্রে মিশ্র বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। কিছু সবজি যেমন গাজর ও কপিজাতীয় ফসলের বীজ প্রায় শতভাগই বিদেশ থেকে আনা হয়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, শালগম, বিটরুট প্রভৃতি বিদেশ থেকে আনা হয়। কিন্তু ঢেঁড়স, শিম, বেগুন ও কুমড়াজাতীয় সবজি যেমন লাউ, মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা প্রভৃতির বীজ অনেকাংশে দেশেই উৎপাদিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন শাকজাতীয় ফসলের বীজ যেমন লালশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, পালংশাক, পুঁইশাক প্রভৃতির বীজ দেশেই উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশ থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, তাইওয়ান ও চীন থেকে সবজিসহ নানাবিধ ফসলের বীজ আমদানি করে থাকে। পেঁপের প্রায় অর্ধেক বীজই তাইওয়ান থেকে আমদানি করা হয়।

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে ফসলের বীজের জোগানে এখনো বিদেশনির্ভরতা প্রকটভাবে লক্ষণীয়। অন্যদিকে আবহাওয়াগত কারণে কিছু ফসলের গুণগত মানসম্পন্ন বীজ বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। স্বল্প পরিসরে এগুলো বিদেশেও রফতানি শুরু হয়েছে, যা দেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৬ দশমিক ২৪৭ টন সবজি রফতানি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাণিজ্যিক সবজি খামার গড়ে তুলেছেন, যেখানে বীজের মূল জোগান গেছে বাংলাদেশ থেকে। এর ধারাবাহিকতায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক কৃষি খামারের জন্য দেশ থেকে নানাবিধ সবজির বীজ নেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু নানাবিধ আইনকানুন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বেড়াজালে ইউরোপে বীজের এ রফতানি সুবিধা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবার আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যেমন সুদান, দক্ষিণ সুদান ও মিসরে শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত সেনাসদস্যরা স্বল্প পরিসরে তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য সবজি বীজ নিচ্ছেন ও চাষ করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপে এবং আফ্রিকার দেশগুলোয় আমাদের স্থানীয় সবজিগুলোর সফল উৎপাদন বীজ রফতানির নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এছাড়া এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন নেপাল, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কিছু ফসলের চাহিদা রয়েছে। চাহিদামতো উন্নত জাত উদ্ভাবন করে এসব দেশে ট্রায়াল দিয়ে একটি নতুন বাজার তৈরি করা যায়। 

ফসলের বীজ উৎপাদন একটি প্রযুক্তিগত বিষয়। পাশাপাশি গুণগত বীজ উৎপাদনের জন্য অনুকূল আবহাওয়া দরকার হয়। যেমন মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে প্রায় অর্ধেক কুমড়াজাতীয় বীজ উৎপাদন করা হয়। আবার পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের বনপাড়া ঢেঁড়সের বীজ উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। আলুর বীজ উৎপাদনের জন্য উত্তরাঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়েছে। আবার আবহাওয়াগত কারণে আমাদের দেশে কফিজাতীয় সবজি উৎপাদন করা যায় না। বেগুন ও দেশী শিম আমাদের নিজস্ব ফসল। এগুলোর উৎপত্তিস্থলও উপমহাদেশে। আমাদের দেশে বেগুনেরই দুই শতাধিক জাত রয়েছে। বীজ উৎপাদন ও রফতানিতে এসব ফসলের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরে উন্নত জাত ও বীজ উৎপাদন গবেষণায় বিনিয়োগ বেশ লাভজনক হতে পারে। পাশাপাশি সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের উদ্ভাবিত জাতগুলোর বীজ উৎপাদনের আগ্রহ দেখিয়েছে। ব্যবসায়ীরা এ সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর জন্য সরকারের সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, 

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগে সহযোগিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

বিদেশে বীজ রফতানির জন্য কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। রফতানির আগে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হতে হয়। কিন্তু দেশে বীজের নানাবিধ গুণগতমান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষণাগার নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ল্যাব না থাকায় নানা সময়ে ইউরোপের বাজারে বীজ রফতানি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি লালতীল সিল লিমিটেড তাদের নিজস্ব উদ্যোগে বীজ পরীক্ষার একটি ল্যাব স্থাপন করেছে। এছাড়া বীজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যে ধরনের মলিকুলার ল্যাব দরকার তাও এখনো গড়ে ওঠেনি। গুণগত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের জন্য প্রজননবিদ বা ব্রিডার, বীজতত্ত্ববিদ, কৃষিতত্ত্ববিদ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ ও কীটতত্ত্ববিদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বীজ উৎপাদনের জন্য শুধু ব্রিডারের ওপর নির্ভর করা হয়। বাংলদেশের উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়া রোগের সংক্রমণ ও পোকামাকড়ের আক্রমণের জন্য বেশ অনুকূল। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ফসলের বীজ উৎপাদন প্রযুক্তিও এখানে অনুপস্থিত। রফতানিমুখী বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে উত্তম কৃষিচর্চার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় অনেকে বীজ উৎপাদন ব্যবসায় সফল হতে পারছেন না। 

গত কয়েক বছর বেশ কয়েকটি বীজ কোম্পানি তাদের উৎপাদিত বীজ বিদেশে রফতানি করছে। তারা বাংলাদেশ থেকে কুমড়াজাতীয় সবজি, মরিচ, ঢেঁড়স, নানা ধরনের পাতাজাতীয় সবজির বীজ নানাদেশে রফতানি করেছে। কিন্তু বীজ উৎপাদন ও রফতানিতে অনেকাংশে আমাদের সক্ষমতা এখনো আন্তর্জাতিক মানের নয়। বাংলাদেশে উর্বর মাটি বীজ ফসল উৎপাদনের জন্য অনুকূল। প্রায় ১০টি ফসলের বার্ষিক উৎপাদন বৈশ্বিক হিসেবে দশের ভেতর রয়েছে। পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়া, পানির সহজলভ্যতা ও স্বল্প মজুরির শ্রমিক বীজ শিল্পের জন্য সহায়ক। আমাদের কৃষি খোরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণ করেছে। এখন আমরা রফতানিমুখী কৃষির স্বপ্ন দেখি। কৃষিতে অনেক শিক্ষিত যুবক উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনিয়োগ করেছেন। এ সম্ভাবনাগুলো যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে আমদের বীজ উৎপাদন শিল্পকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারব। সরকার কৃষি উৎপাদন ও রফতানি বিষয়ে বেশ আন্তরিক। কৃষিপণ্য রফতানিতে প্রণোদনা সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় দুই খাত হলো বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং তৈরি পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের প্রবাসীরা যেসব সেক্টরে কাজ করে সেগুলো ক্রমেই অটোমেশন ও যান্ত্রিকীকরণ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের জায়গা দখল করে নিচ্ছে রোবট। ফলে আগে যেখানে ২০ জন শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সেখানে কাজ করেন একজন অপারেটর। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় সম্ভাবনাময় বিকল্প হলো কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানো। এখানে বীজ উৎপাদন ও রফতানি এক নতুন দুয়ার উন্মোচন করতে পারে। তবে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক ওয়ান স্টপ সহযোগিতা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

আরও