সাতক্ষীরায় চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী

সাতক্ষীরায় পাইকারি বাজারে চালের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এক-দেড় মাসের ব্যবধানে প্রকারভেদে মণপ্রতি ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। গতকাল জেলার কয়েকটি চালকল ও পাইকারি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। মিলার ও ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন বোরো চাল না ওঠা পর্যন্ত জেলার চালের বাজার এমন অস্থিতিশীল থাকবে।

সাতক্ষীরায় পাইকারি বাজারে চালের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এক-দেড় মাসের ব্যবধানে প্রকারভেদে মণপ্রতি ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। গতকাল জেলার কয়েকটি চালকল ও পাইকারি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। মিলার ও ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন বোরো চাল না ওঠা পর্যন্ত জেলার চালের বাজার এমন অস্থিতিশীল থাকবে। 

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে শহরের চালতেতলা সাহা চালকলের স্বত্বাধিকারী তপন সাহা জানান, দেড় মাস আগে যে মিনিকেট চাল মণ ২ হাজার ২৪০ টাকা বিক্রি করেছেন সেটির দাম এখন ২ হাজার ৩২০ টাকা। মোটা জাতের ও আতপ চালের দাম প্রতি মণে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। 

তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরায় উৎপাদিত চালের একটি বড় অংশ জেলার বাইরে চলে যায়। ফলে স্থানীয় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমলে তখন দামও বেড়ে যায়। নতুন বোরো চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত জেলায় চালের বাজার এমন স্থিতিশীল থেকে যাবে।

গতকাল সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা দরে। একই ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৬ টাকা কেজিতে, যা এক মাস আগেও ২-৩ টাকা কম ছিল। 

অন্যদিকে মোটা বা আতপ চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা চাল ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন জানান, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ যেমন কম, তেমনি পাইকারিতে দাম বাড়ায় তার প্রভাব পড়েছে খুচরা চালের বাজারগুলোয়। 

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় আমন ও বোরো মৌসুমে প্রায় ছয় লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে জেলায়ই ৬০ শতাংশ চালের প্রয়োজন হয়। বাকি চাল চলে যায় গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

আরও