দিনাজপুরের হিলি

কমেছে দেশী আলুর দাম, লোকসানের শঙ্কায় কৃষক

ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে বড়সংখ্যক কৃষক আলু আবাদ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় এখন লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত থেকে আমদানির ফলে দেশী আলুর দাম কমে গেছে। তাছাড়া এবার বৈরী আবহাওয়ায় ফলনও কম হয়েছে।

ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে বড়সংখ্যক কৃষক আলু আবাদ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় এখন লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত থেকে আমদানির ফলে দেশী আলুর দাম কমে গেছে। তাছাড়া এবার বৈরী আবহাওয়ায় ফলনও কম হয়েছে।

ভরা মৌসুমে দাম না কমায় আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দরের ৫০ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পান। সে মোতাবেক এলসি খুলে ৩ ফেব্রুয়ারি হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। এর পর থেকেই নিম্নমুখী দেশী আলুর দাম।

হিলির চন্ডীপুর গ্রামের কৃষক পলাশ বসাক বলেন, ‘‌এবারে বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এতে লাভবান হওয়ার আশায় বীজ ও সারের উচ্চ মূল্য সত্ত্বেও বেশি জমিতে আলু আবাদ করেছি। শুরুর দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর গাছ বেশ সুন্দর হয়েছিল। কিন্তু মাঝে শীত আর কুয়াশায় অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। গতবার এক বিঘা জমিতে ১০০ মণ আলু হলেও এবার ৫০-৬০ মণ করে ফলন হচ্ছে। তাছাড়া ঠিক যে সময় আমাদের জমি থেকে আলু উঠতে শুরু করবে, সে সময় সরকার আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এতে প্রতি মণ আলুর দাম ২ হাজার থেকে কমে ৬০০ টাকায় নেমেছে। এবারে এক বিঘা জমিতে আলু আবাদ করতে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দাম কমায় আমরা উৎপাদন খরচও উঠাতে পারব না।’ আরো বেশ কয়েকজন কৃষক একই কথা জানিয়েছেন।

তবে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘‌চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলায় ১ হাজার ১১ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। শুরুর দিকে আবহাওয়া ভালো থাকলেও মাঝে তীব্র শীতের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এরই মধ্যে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে, তবে পুরোপুরি এখনো শেষ হয়নি। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় আমরা আশা করছি কৃষকরা আলুর ভালো ফলন পাবেন। বাজারমূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন। এবার আলুর গড় ফলন হেক্টরে ২৩ টন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৬ হাজার ৩৬০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫২৭ হেক্টর জমি থেকে ১১ হাজার ৯৭৩ টন আলু উত্তোলন করা হয়েছে।’

আরও