হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আলু আমদানি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। আমদানির মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বাড়তি দাম এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। আমদানির মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বাড়তি দাম এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

বন্দর দিয়ে বুধবার একদিনেই ২৬টি ট্রাকে ৬৭৮ টন আলু আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার ১৩টি ট্রাকে এসেছে ৩৪৮ টন। এছাড়া সোমবার বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৫৭ টন আলু আমদানি হয়েছিল। গতকালও আমদানি অব্যাহত ছিল।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক সাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘‌সরকার দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয়। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আমদানির অনুমতির মেয়াদ ছিল। পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। আবারো সে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথম দিকে ভারত থেকে আলু এনে লোকসানের মুখে পড়েন আমদানিকারকরা। এ কারণে আমদানি শুরু হওয়ার চারদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বাজারে সম্প্রতি দাম বেড়েছে। তার ওপর আমদানির অনুমতির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। ফলে হিলি বন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়াচ্ছেন আমদানিকারকরা।

তথ্য বলছে, বর্তমানে ভারত থেকে কাটিনাল জাতের আলু আমদানি করে কেজিপ্রতি শুল্ক দিতে হচ্ছে ৭-৮ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি কেজিতে ব্যয় হচ্ছে ৩৬-৩৭ টাকা। কিন্তু দেশের বাজারে বর্তমানে এ জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা দরে। এ কারণে এটির আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বন্দর দিয়ে সাদা ডায়মন্ড আলু আমদানি হচ্ছে, যা শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাস পর্যন্ত ব্যয় হচ্ছে ২৮-২৯ টাকা। বন্দরে এ জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‌আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বন্দর দিয়ে আলু আমদানি হচ্ছিল। তবে চলতি সপ্তাহে বন্দর দিয়ে আমদানি খানিকটা বেড়েছে। আলু আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ও বেড়েছে।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘‌দেশে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দরের ৫০ জন আমদানিকারক প্রায় ৩৫ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছিলেন।’

আরও