চাল আমদানিতে বহাল থাকা ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোববার ( ৩ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানানো হয়। চাল আমদানিতে অন্য সব ধরনের শুল্ক ও কর আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে এখন থেকে চাল আমদানিতে শুধু ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হবে। তবে, নতুন প্রজ্ঞাপনে শর্তজুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, চাল আমদানির আগে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত কমপক্ষে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চাল আমদানিতে আগে সব মিলিয়ে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক ও কর ছিল। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক), ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি)। গত ২০ অক্টোবর চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৫ শতাংশ। আর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর (কাস্টমস বিভাগ আদায় করে) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (আয়কর বিভাগ আদায় করে) বহাল থাকে। ৩১ অক্টোবর চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।
অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। ৩ নভেম্বর অবশিষ্ট থাকা অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের দাবি, চাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ও অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের ব্যয় ২৫ টাকা ৪৪ পয়সা কমবে। এতে চালের আমদানি বৃদ্ধি পাবে। বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।