বণিক বার্তা ডেস্ক
৩৫ বছর বা কম বয়সীদের আকৃষ্ট করতে কর ব্যবস্থা সংশোধনের চেষ্টা করছে পর্তুগিজ সরকার। এর মাধ্যমে দেশী তরুণদের বিদেশে অভিবাসন থেকে বিরত রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এর অন্যতম লক্ষ্য হলো বিদেশী তরুণদের পর্তুগালে বসতি স্থাপনে উৎসাহ দেয়া। খবর ইউরো নিউজ।
পর্তুগালে ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী সরকার ২০২৫ সালের নতুন বাজেটে তরুণদের জন্য কর অবকাশের পরামর্শ দিয়েছে, যা গত সপ্তাহে দেশটির সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছিল। নতুন নীতিটি বিদেশীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, কারণ সরকারের লক্ষ্য তরুণদের পর্তুগালে আকৃষ্ট করা।
এ উদ্যোগ অনুযায়ী, যাদের বয়স ৩৫ বা এর কম তাদের প্রথম বছরে ২৮ হাজার ইউরো পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনো কর দিতে হবে না। তবে পরবর্তী ১০ বছরে কর অবকাশের হার ধীরে ধীরে কমবে। পরবর্তী বছরে ৭৫, ৫০ এবং তারপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড় দেয়া হবে। এভাবে সম্পূর্ণ কর অবকাশ-পরবর্তী নয় বছরে ক্রমান্বয়ে করের হার বাড়িয়ে একটি ১০ বছর মেয়াদি কর্মসূচি সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে পর্তুগিজ সংসদে দেশটির অর্থমন্ত্রী জোয়াকিম মিরান্ডা সারমেন্টো বলেন, ‘এ কর অবকাশ হলো দেশের তরুণদের ধরে রাখার জন্য একটি মৌলিক হাতিয়ার। এতে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ তরুণ-তরুণী উপকৃত হতে পারে।’
ইউরোপে সর্বনিম্ন গড় বেতনের দেশ পর্তুগাল। দেশটির ইমিগ্রেশন অবজারভেটরির তথ্য অনুসারে, ১৫-৩৯ বছর বয়সী ৩০ শতাংশ তরুণ-তরুণী দেশ ছেড়েছে। তাদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ।
তরুণদের জন্য প্রস্তাবিত কর অবকাশে ৬৫ কোটি ইউরো খরচ হতে পারে, যা দেশটির জিডিপির প্রায় দশমিক ২ শতাংশ।
ক্ষমতাসীনরা তরুণদের দেশে রাখার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। গত জুনে প্রথম বাসস্থান কেনার ক্ষেত্রে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের রিয়েল এস্টেট প্রপার্টি ট্যাক্স (আইএমটি) ও স্ট্যাম্প ডিউটি (আইএস) থেকে অব্যাহতি কার্যকর হয়েছিল।