ভারতে শুল্ক কমার পরও দেশে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম

ভারত সরকার গত শুক্রবার পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্কহার ৪০ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

ভারত সরকার গত শুক্রবার পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্কহার ৪০ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অন্যদিকে পণ্যটির ন্যূনতম রফতানি মূল্য ৫৫০ থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে। এরপর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানিকারকদের অভিযোগ, শুল্ক কমালেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এ কারণে এখনো দেশে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, কাস্টমসের সার্ভারে শুল্ক কমানোর বিষয়টি গত মঙ্গলবার বিকালে সংযুক্ত করা হয়। সেদিন থেকেই এ বন্দর দিয়ে কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। পরদিন ১৮টি ট্রাকে আমদানি হয় ৫১৩ টন। বৃহস্পতিবারও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে আরো জানা যায়, এখানে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজারে খুচরায় আমদানীকৃত পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও একই দামে দেশী ও আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হয়।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ‘‌আমদানি বাড়লেও বন্দরে আগের দামেই পেঁয়াজ বেচাকেনা হচ্ছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খুচরায় কেজিপ্রতি ৯০ টাকা আর পাইকারিতে তা ৮৫ টাকায় বিক্রি করছি। ভারত পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক কমালেও দামে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘‌ভারত সরকার শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা মতো বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে রফতানি শুল্ক কমার কোনো সুফল পাচ্ছে না আমাদের দেশের মানুষ। এছাড়া আমাদের কাস্টমস বাড়তি মূল্যে শুল্কায়ন করায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়ছে। এলসি খোলা হয়েছে ৪০৫ ডলার মূল্যের। কিন্তু কাস্টমস ৫৬০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করছে। এতে ১ টাকার মতো কেজিপ্রতি বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। এসব কারণে পেঁয়াজ বর্তমানে কেজিপ্রতি ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’

আরও