কোকোর ব্যাপক দরপতন, বেড়েছে অপরিশোধিত চিনির দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে গত শুক্রবার কোকোর দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোকো প্রক্রিয়াকরণ (গ্রাইন্ডিং) সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর পণ্যটির দাম কমতে শুরু করে।

আন্তর্জাতিক বাজারে গত শুক্রবার কোকোর দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোকো প্রক্রিয়াকরণ (গ্রাইন্ডিং) সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর পণ্যটির দাম কমতে শুরু করে। একই সময়ে অপরিশোধিত চিনির দাম আগের দিন চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে যাওয়ার পর আবারো বেড়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

লন্ডনের ফিউচার মার্কেটে আগামী বছরের মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে কোকোর দাম ৪ শতাংশ কমে গেছে। এতে প্রতি টনের দাম নেমে এসেছে ৫ হাজার ৯ পাউন্ডে। এর আগে গত বুধবারও এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৪৮১ পাউন্ডে বেচাকেনা হয়েছে পণ্যটি।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘‌তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে ইউরোপে কোকো প্রক্রিয়াকরণ কমে গেছে। তবে একই সময়ে এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় বেড়েছে। শীর্ষ উৎপাদক দেশ আইভরি কোস্টেও কোকো গ্রাইন্ডিং কমে গেছে।’

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল কনফেকশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে উত্তর আমেরিকার কোকো গ্রাইন্ডিং ১ লাখ ৯ হাজার ২৬৪ টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এর আগে ৩-৫ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।

নিউইয়র্কেও ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে কোকোর দাম ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এতে প্রতি টনের দাম ৭ হাজার ৪৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে কোকোর দাম কমলেও বেড়েছে অপরিশোধিত চিনির। লন্ডনের ফিউচার মার্কেটে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে অপরিশোধিত চিনির দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি পাউন্ডের দাম পৌঁছেছে ২২ দশমিক ৫৫ সেন্টে। গত বৃহস্পতিবার চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৭১ সেন্টে নেমে গিয়েছিল পণ্যটির দাম।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত মাসে দাম কিছুটা কমলেও বাজারে আবার দাম বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত মাসে চিনির দাম সাত মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে সাদা চিনির দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি টন ৫৭৬ ডলার ৩০ সেন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে অ্যারাবিকা কফির দাম ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি পাউন্ড ২ ডলার ৫৭ সেন্টে পৌঁছেছে। সম্প্রতি ব্রাজিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি আগামী বছরের কফি ফসলের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে, বর্তমানে তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তবে কৃষক ও কৃষিবিদরা জানান, বৃষ্টিপাত প্রয়োজনের তুলনায় পরে হয়েছে। ফলে ২০২৫ সালে উচ্চ ফলনের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আরও