সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি কমেছে। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মসলাপণ্যটির আমদানি কমেছে প্রায় ১ হাজার ২০০ টন। বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমদানি কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ৭০ টন। যার আমদানি মূল্য ৩৪৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে পণ্যটি আমদানি হয়েছিল ১৪ হাজার ২৪০ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ৩৫৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পণ্যটির আমদানি কমেছে ১ হাজার ১৭০ টন।
ভোমরা বন্দরের অন্যতম মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু হাসান বলেন, ‘দেশের বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানে শুকনা মরিচ আমদানি কমানো হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পণ্যটির আমদানি ১০-১৫ শতাংশ কমেছে।
এদিকে সাতক্ষীরার জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমদানি কমলেও বাজারে শুকনা মরিচের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।’
সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসলা বিপণন আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে গতকাল পাইকারিতে শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩৭৫-৩৮০ টাকায়। এছাড়া এ বাজারের খুচরা মসলা বিক্রি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার স্টোরে এদিন এটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীম জানান, সম্প্রতি খুচরা বাজারে শুকনা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। তিন-চার সপ্তাহ আগেও তার প্রতিষ্ঠানে পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪২০ টাকা।