চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় জিরাসহ অন্যান্য মসলাপণ্যের উৎপাদন কমে গেছে। এতে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বেড়েছে ভারতে উৎপাদিত জিরার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির গুজরাট থেকে মসলাপণ্যটির রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতীয় মসলা স্টেকহোল্ডার ফেডারেশনের (এফআইএসএস) তথ্যানুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গুজরাট থেকে ৫২ হাজার ২২ টন জিরা রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২৮ শতাংশ বেশি। গত বছর এ সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৮৩০ টন। মার্চ-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট রফতানি বেড়েছে ৭৩ শতাংশ।
এফআইএসএসের সহসভাপতি উদয়কুমার কার্তিক জানান, মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া, ইরান ও তুরস্কের মতো জিরা উৎপাদনকারী দেশগুলোয় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় উৎপাদন কমে গেছে। এতে বিশ্ববাজারে ভারতীয় জিরার চাহিদা বেড়েছে।
ভারতে গুজরাট ও রাজস্থান হলো প্রধান জিরা উৎপাদনকারী রাজ্য। এ দুটি রাজ্য উৎপাদন বাড়িয়ে বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে।
গুজরাটের উনঝা ভারতের জিরা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সেখানকার মসলা ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বলছেন, জিরার চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি মূল্য কমে আসায় রফতানির হারও বেড়েছে। গত বছর জিরার দাম প্রতি কুইন্টাল ৬০ হাজার টাকা ছিল, যা বর্তমানে কমে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে।
একজন মসলা ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বড় অর্ডারগুলো আগে থেকেই আসতে শুরু করেছে। অনেক ক্রেতা বর্তমান কম মূল্যে জিরা কিনে মজুদ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের ক্রেতাদের পাশাপাশি চীনও ভারতের কাছ থেকে জিরা আমদানি শুরু করেছে। যদিও চীন ও বাংলাদেশের চাহিদা সীমিত। তবে যুক্তরাষ্ট্র, দূরপ্রাচ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ভারতের প্রধান ক্রেতা হিসেবে রয়েছে।
ভারতে জিরার বাম্পার উৎপাদন ও স্থিতিশীল মূল্য বিবেচনায় রফতানিকারকরা আশা করছেন, এ প্রবণতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।