সেপ্টেম্বরে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি কমেছে

বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশ ভারত। তবে সেপ্টেম্বরে দেশটির ভোজ্যতেল আমদানি ৩০ শতাংশেরও বেশি কমে ১১ লাখ টনে নেমেছে।

বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশ ভারত। তবে সেপ্টেম্বরে দেশটির ভোজ্যতেল আমদানি ৩০ শতাংশেরও বেশি কমে ১১ লাখ টনে নেমেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ)। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

এসইএ জানায়, সেপ্টেম্বরে ভারতে এর আগের মাসের তুলনায় পাম অয়েল আমদানি কমেছে ৩৩ শতাংশেরও বেশি। এ সময় পণ্যটির মোট আমদানি নেমেছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩১৪ টনে। গত মাসে সয়াবিন তেল আমদানি ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮২ টনে দাঁড়িয়েছে। সূর্যমুখী তেল আমদানি কমেছে ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ। মোট আমদানি কমে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮০৩ টনে নেমেছে।

এদিকে ব্যয়বহুল আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। সাত বছরের মধ্যে উৎপাদন দ্বিগুণ করতে দেশটি ১০ হাজার ১০০ কোটি রুপির (১ হাজার ২০ কোটি ডলার) একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

ভারত সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, এ প্রকল্পের আওতায় তেলবীজ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উচ্চ ফলনশীল ও তেল তৈরির উপাদান বেশি থাকে, এমন জাতের বীজের রোপণ বাড়ানো হবে। এছাড়া ভোজ্যতেলের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি জিনোম সম্পাদনা ও উন্নত বীজ তৈরিও এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত।

এদিকে গত মাসে দেশের কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ভারত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত ভোজ্যতেলের প্রাথমিক আমদানি কর ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে।

ভারত বর্তমানে দেশের পাম অয়েল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের মোট চাহিদার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে থাকে। দেশটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানি করে।

ভারতে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ তেলবীজ উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ২৭ লাখ টন। প্রকল্পের আওতায় ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে এটি ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।

আরও