দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এর পরও এ অঞ্চলে দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে দুদিন আগেও বন্দরে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৮০-৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা বেড়ে কেজিপ্রতি ৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য বেড়েছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে নিয়মিতভাবেই পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ ওঠানামা করছে। এছাড়া পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা করছি।’
অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। এর পর থেকে হিলিসহ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এ মসলাপণ্যের আমদানি বন্ধ ছিল। চলতি বছরের ৪ মে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও রফতানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক ও প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য ৫৫০ ডলার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়। এতে শুল্ক পরিশোধ, পরিবহন খরচসহ বন্দরে এসে পৌঁছা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ টাকার ওপরে পড়ছে। বেশি দামে আমদানি করতে হয় বলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পেঁয়াজ ছাড়াও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল বেলা সোয়া ১টায় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়। এ বন্দর দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।’
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্দর থেকে বাংলা ট্রাকে করে এসকর্ট দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব আমদানীকৃত পণ্য সরবরাহ করা হবে। এরই মধ্যে কাস্টমস, বন্দর ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোড শেষ হলে বন্দর থেকে কাঁচামাল বোঝাই বাংলা ট্রাকগুলোকে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হবে।