করদাতাদের তথ্য এনবিআরের কাছে আমানত বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘করদাতাদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এসব তথ্যের গোপনীয়তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। সাইবার অ্যাটাক মোকাবেলায়ও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ডাটার ব্যাকআপ রাখা হয়েছে। ক্লাউডফেয়ারে রাখা হলে সেটা আরো নিরাপদ। স্টোরেজে যথেষ্ট স্পেস নেয়া আছে, যেন অনলাইন রিটার্ন দাখিলে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না হয়।’
রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। আয়কর তথ্য-সেবা মাস-২০২৪ এর উদ্বোধন উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নভেম্বর মাসজুড়ে সেবা মাস চলবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিকিউরিটি নিয়ে সমস্যা নেই। যারা এ প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন, তারাও দেখতে পারবেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ তাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে, আইনের লঙ্ঘন করলে সেটার শাস্তিও রয়েছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডাটাবেজ না থাকায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই অডিট করতে হয়। আমরা অল্প সংখ্যক রিটার্নের অডিট ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সাইন্টিফিকলি করতে পারি। একটা সময় আসবে, আমরা আর পেপার (অফলাইন রিটার্ন) রিটার্ন জমা নেবো না। হয়রানি কমাতে হলে ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নাই। তারই অংশ হিসেবে সরকারি চাকরিজীবীসহ বেশ কয়েকটি পেশার জন্য অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
তিনি জানান, এ বছরের সেবা মাসের মূল প্রতিপাদ্য হলো, করদাতারা যেন ঘরে বসে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। ই-রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি শেখাতে সচিবালয় ও এনবিআর ভবনে আলাদা প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি অনলাইন টিউটোরিয়াল দেয়া হবে। এরমধ্যে আগামী ৫ নভেম্বর সচিবালয়ে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের ট্রেইনারদের ই-রিটার্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেব। তারা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের শেখাবেন।
অনলাইনে রিটার্ন দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হচ্ছে বলে জানান এ সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, মাত্র কয়েক ক্লিকে অনলাইনে দেয়া যাবে রিটার্ন। তার প্রত্যাশা সবাই যেনো ই-রিটার্ন নিজে দাখিল করেন। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।