সিটি ব্যাংক

নয় মাসে আমানত বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক পিএলসির আমানত চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেড়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক পিএলসির আমানত চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেড়েছে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা ও কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে যথাক্রমে ৭৭ ও ১৯ শতাংশ।

গতকাল ব্যাংকটির কর্মকর্তারা তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনের নানা তথ্য বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরেন। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন জানান, তিন প্রান্তিকে আমানত ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়লেও আমানতের ব্যয় ৪ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে আয় ইত্যাদি বিষয়কে তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ নয় মাসে ব্যাংকের আয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত গত বছরের ৫৫ থেকে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।

তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের তিন প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৩২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৪৫১ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৮১ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯১ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। আলোচ্য ২০২৩ হিসাব বছরে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা।

১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৪৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৫৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীর কাছে ৫ দশমিক ৫৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪০ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল সিটি ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৭ টাকা ৩০ ও ২৬ টাকা ৭০ পয়সা।

আরও