হিলিতে পেঁয়াজের পাইকারি দর কমেছে

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি বাড়ায় পাইকারি বাজারে দুদিনের ব্যবধানে মসলাপণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ৭-৮ টাকা কমেছে।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি বাড়ায় পাইকারি বাজারে দুদিনের ব্যবধানে মসলাপণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ৭-৮ টাকা কমেছে। 

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। কিছুদিন আগে বন্দর দিয়ে ৩-৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ১০-১৫ ট্রাক হয়েছে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯৫-৯৬ টাকা। আমদানি বাড়ায় বর্তমানে তা কমে ৮৮-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। যদিও তা কাস্টমসের সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পেঁয়াজের দামের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গতকাল থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর যে শুল্ক আরোপ করে রেখেছে  তা এখনো অব্যাহত আছে। এছাড়া ভারতের পাশাপাশি সমুদ্রপথে মিসর পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘ আজ (গতকাল) থেকে কাস্টমসের সার্ভারে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি যোগ করা হবে। তবে ব্যবসায়ীদের  পেঁয়াজ আমদানির কাস্টমস ডিউটি পরিশোধ করতে হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পিসএস এসএম হায়দার বলেন, ‘বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যদিও এ পরিমাণ উঠানামা করছে। পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য হওয়ায় কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারেন সে লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।’

আরও