আলু আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শুল্ক কমানোয় চলতি সপ্তাহেই ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনায় দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশী আলুর দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা।
হিলি বাজারে গতকাল ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রত্যেকটি দোকানেই আলুর প্রয়োজনীয় সরবরাহ রয়েছে। এ বাজারে দুদিন আগেও দেশী গুটি জাতের আলুর দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা। বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুদিন আগে কাটিনাল জাতের আলুর দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০-৫২ টাকা। বর্তমানে এটি ৪৬-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আলু আমদানিতে শুল্ক কমানোয় হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। আমদানির খবরে যেসব কৃষক নিজ নিজ বাড়িতে আলু মজুদ করে রেখেছিলেন, তারা সেগুলো বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের স্টোরে মজুদ রাখা আলুও বাজারে আসছে। ফলে সরবরাহ বাড়ায় বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে আলু আমদানির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। বর্তমানে ভারতের বাজারে আলুর যে দাম তার সঙ্গে পরিবহন খরচ মিলিয়ে দেশে কেজিপ্রতি ৩৫-৩৬ টাকার মতো পড়তে পারে। দেশের বাজারে আমদানীকৃত সেসব আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে। আলু আমদানির অনুমতি (আইপি) চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আইপি হাতে পেলেই এলসি খুলে ভারত থেকে আমদানি শুরু হতে পারে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হবে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘আলু আমদানিতে আইপি ইস্যুতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আমদানিকারকরা যদি অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন, সে মোতাবেক আইপি ইস্যু করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সম্ভবত দু-একদিনের মধ্যে আলু আমদানি শুরু হতে পারে।’