ধান, পাট, গম চাষের পাশাপাশি নড়াইলে সরিষার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষার আবাদে খরচ ও সময় কম লাগায় প্রতি বছরই বাড়ছে আবাদি জমির পরিমাণ। গত পাঁচ বছরে জেলায় সরিষা আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। চলতি বছর (২০২৩-২৪) এ জেলা থেকে অন্তত ১৫০ কোটি টাকার সরিষা উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে নড়াইলে সরিষার আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৭ হেক্টর। এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ১২ হাজার ৮৮৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। এ হিসেবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে আবাদি জমি বেড়েছে ৭ হাজার ১৮ হেক্টর বা দ্বিগুণের বেশি। জেলার তিনটি উপজেলায়ই সরিষার আবাদ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি হয় নড়াইল সদর উপজেলায়। উজিরপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত বছর প্রতি মণ সরিষা ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। এবার অন্তত ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে সরিষা বিক্রি হবে।’
কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ জেলা থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার মণ সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য অন্তত ১৫০ কোটি টাকা। নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘প্রতি বছরই সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে নড়াইলে। চলতি বছরে জেলায় ১৩ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে সরকারিভাবে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। নড়াইলের কৃষকেরা বীনা-৪, ৯, ১১ ও বারি-১৪ জাতের সরিষাই বেশি চাষ করে থাকেন। সরিষা আবাদের সবচেয়ে লাভবান দিক হচ্ছে, এটি চাষ করলে বছরে তিনটি ফসল ফলানো যায়।’