সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ১২ হাজার ২১৪ টন শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি কমেছে ২ হাজার ৬৭৮ টন। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে পণ্যটির আমদানি কমেছে।
আমদানি কমে যাওয়ায় জেলার মসলা বাজারগুলোয় হলুদের দাম বেড়েছে। দেড় থেকে দুই মাসের ব্যবধানে কেজিতে গুঁড়ো হলুদের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গতকাল সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের কয়েকটি মসলার দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এ বন্দর দিয়ে শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছে ১২ হাজার ২১৪ টন। এর আমদানি মূল্য ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ বন্দর দিয়ে শুকনা হলুদ আমদানি হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৯২ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ১৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে হলুদ আমদানি কমেছে ২ হাজার ৬৭৮ টন।
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে জানান, ডলার সংকটের পাশাপাশি ভারতে সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় তার প্রতিষ্ঠানের হলুদ আমদানি কমে গেছে। এখন সপ্তাহে ছয়-সাত ট্রাক আমদানি হচ্ছে। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে ১০-১২ ট্রাক পর্যন্ত আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব হলুদ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামা-ভাগ্নে ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী জহুরুল হক জানান, গতকাল তার দোকানে গুঁড়ো হলুদ পাইকারি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। এক মাস আগেও এটি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে খুচরা বাজারে গুঁড়ো হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ জানান, গুঁড়ো হলুদের দাম বাড়লেও জিরা, শুকনা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। আমদানি বাড়লে হলুদের দামও কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।