বিশ্বের শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ ভারত। দেশটি সম্প্রতি চালের রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনায় এশিয়ার প্রধান চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোয় চলতি সপ্তাহে পণ্যটির দাম কমেছে। গত এক বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে চালের দাম। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভারতে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৯০-৪৯৫ ডলার, যা গত বছরের ২৪ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। গত সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৪৯৪-৪৯৮ ডলার।
এ বিষয়ে কলকাতাভিত্তিক এক রফতানিকারক বলেন, ‘ভারত থেকে সাদা ও সেদ্ধ দুই ধরনের চালের রফতানিই কিছুটা কমেছে। ভারত সরকার চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) কমানোর পর বর্তমান দামের কারণে ব্যবসায়ীরা চাল ক্রয় বন্ধ রেখেছেন।’
ভারত গত মাসে সেদ্ধ চালের ওপর রফতানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়েছে। অন্যদিকে বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চাল রফতানির জন্য এমইপি নির্ধারণ করেছে টনপ্রতি ৪৯০ ডলার।
ভিয়েতনামের ফুড অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল টনপ্রতি ৫৩৮ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। আগের সপ্তাহে ভিয়েতনামে প্রতি টন চাল ৫৫২ ডলার বেচাকেনা হয়েছিল।
ভিয়েতনাম গত বছর রেকর্ড চাল রফতানি করেছিল। তবে চলতি বছর তা কিছুটা কমতে পারে। এ সময় দেশটি বিশ্বব্যাপী ৭৬ লাখ টনের বেশি চাল রফতানি করতে পারে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির ফুড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নগুয়েন এনগোক নাম রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এনগোক নাম বলেন, ‘ভারত সম্প্রতি চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের চাল রফতানির খবর বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
ভিয়েতনামের সরকারি বাণিজ্যিক তথ্যানুযায়ী, ভিয়েতনামের চাল রফতানি চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটির আমদানি পৌঁছেছে ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টনে। এছাড়া জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনামের চাল রফতানি আয় ২৩ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৩৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
থাইল্যান্ডে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম কিছুটা কমে ৫১০ ডলারে নেমেছে। গত সপ্তাহে এটি ছিল টনপ্রতি ৫১০-৫১৫ ডলার। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারত রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ব্যবসায়ীরা চাল ক্রয় কমিয়েছেন। চাহিদা কমায় চালের দাম নিম্নমুখী হয়েছে।’ এদিকে অন্যান্য দেশে কমলেও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চালের দাম আরো বাড়তে পারে।