সাতক্ষীরায় পাইকারিতে শুকনা মরিচের দাম কমেছে

সাতক্ষীরার পাইকারি মসলা বাজারে শুকনা মরিচের দাম কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। একইভাবে খুচরা বাজারেও দাম কমেছে মসলাটির। আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে শুকনা মরিচের। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

সাতক্ষীরার পাইকারি মসলা বাজারে শুকনা মরিচের দাম কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। একইভাবে খুচরা বাজারেও দাম কমেছে মসলাটির। আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে শুকনা মরিচের। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ বাণিজ্যিক মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা বিপণন আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

সুলতানপুর বাজারের অন্যতম মসলা আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে গতকাল শুকনা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩৯০ টাকা দরে। এক মাস আগে একই আড়তে মসলাটি বিক্রি হয়েছে ৩৭০-৪৮০ টাকা কেজিতে। দাম কমার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. ফজর আলী জানান, সম্প্রতি বাজারে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমেছে।

এদিকে সুলতানপুর বড় বাজারের অধিকাংশ খুচরা মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় গতকাল শুকনা মরিচ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪৪৫-৪৫০ টাকা দরে, যা এক মাস আগে ছিল ৪৮০-৪৯০ টাকা।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে জানান, ভারতে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সম্প্রতি শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। তিনি বলেন, ‘‌চলতি সপ্তাহে ১৮-২০ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে, যা এক থেকে দেড় মাস আগেও সপ্তাহে আমদানি ছিল ১০-১২ ট্রাক। আমদানীকৃত মরিচ স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।’

সাতক্ষীরা শহরের মুনজিত এলাকার বাসিন্দা রুহুল কুদ্দুস জানান, শুকনা মরিচের দাম কমলেও বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমছে না। চিনি, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। রোজা উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌শুধু শুকনা মরিচই নয়, রমজানের আগে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের মসলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমে যাবে বলে আশা করছি। এর আগে পেঁয়াজ, জিরা ও আলুর দাম কমেছে।’ বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

আরও