দুর্গা পূজা উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১১ চালানে প্রায় ৫৩৩ টন (৫ লাখ ৩৩ হাজার কেজি) ইলিশ রফতানি হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১১টি ট্রাকে ৩৬ টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর সাতটি ট্রাকে ২২ টন, ৮ অক্টোবর আটটি ট্রাকে ২৪, ৭ অক্টোবর আটটি ট্রাকে ২৩, ৫ অক্টোবর ১৩টি ট্রাকে ৪২, ৩ অক্টোবর ৩০টি ট্রাকে ৯২, ১ অক্টোবর ২৩টি ট্রাকে ৬৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ৩০টি ট্রাকে ৮৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ছয়টি ট্রাকে ১৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ১৫টি ট্রাকে ৪৫ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ইলিশ গেছে ভারতে।
দুর্গা পূজা উপলক্ষে ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন বা ২৪ লাখ ২০ হাজার কেজি ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৫৩৩ টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে সর্বমোট ২০টি প্রতিষ্ঠান ১৬৮টি ট্রাকে করে ভারতে ইলিশ রফতানি করে। প্রতি কেজি ইলিশ রফতানি হয়েছে ১০ ডলারে। বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ১ হাজার ১৮০ টাকা। মোট ডলার এসেছে ৫৩ লাখ ২০ হাজার। বাংলাদেশী টাকায় ৬২ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার।
সরজমিনে যশোরের স্থানীয় মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। কেজির ওপরে বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-২০০০ টাকায়। অথচ একই আকারের ইলিশ প্রায় ৬০০-৮০০ টাকা কমে ভারতে রফতানি হচ্ছে।
কম দামে ইলিশ রফতানির বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আসওয়াদুল জানান, ইলিশ রফতানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, রফতানিকারকদের ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার শেষদিনে গত শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১১টি ট্রাকে ৩৬ টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ১১ দিনে ভারতে রফতানি হয়েছে প্রায় ৫৩৩ টন ইলিশ।