ইংলিশ অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মূল লক্ষ্য শুধু ইংরেজি শেখা নয়, ইন্সপায়ারিং লিডারশিপ। বিভিন্ন বিষয় যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, মেন্টাল ওয়েলবিইংয়ের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শিখতে উৎসাহ দেয়া হয়। এগুলো তরুণ প্রজন্মের জন্য খুবই দরকারি। বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করা কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ইংলিশ অলিম্পিয়াডের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এ অলিম্পিয়াড তরুণদের কার্যকর যোগাযোগের দক্ষতা শেখায়, যাতে তারা ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।
যেসব বিষয়ে এখানে শেখানো হয় সেগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং ও প্রবলেম সলভিং স্কিল বিকশিত হয়। বাংলাদেশে আমাদের যখন স্কুলে ইংরেজি পড়ানো হয় তখন বইয়ের বিভিন্ন রুলস মুখস্থ করানো হয়। মুখস্থ করে শিক্ষার্থীরা আসলে কিছু বুঝতে পারে না। তারা পরীক্ষার জন্য পড়ে, আবার মুখস্থবিদ্যায় পরীক্ষায়ও ভালো করে। কিন্তু যখন এগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে যায় তারা কিন্তু সেটি পারে না। আমাদের অনেক উচ্চ শিক্ষিতও ভালো করে ইংরেজি বলতে পারে না, কারণ তারা বাস্তব জীবনে ইংরেজির প্রয়োগ করেনি। বিদেশে শিশুরা সবকিছুই ইংরেজিতে অভ্যস্ত। তাদের চারপাশেই ইংরেজির চর্চা। এজন্য তারা সহজেই এটি আত্মস্থ করে। বাস্তব জীবনে নিয়মিত প্রয়োগ করে। তাদের মুখস্থ করতে বলা হয় না। প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমেই তারা শেখে। বাংলাদেশে যেহেতু এত ইংরেজি ব্যবহার হয় না। আবার মুখস্থ করতে বলা হয় তাই শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ করতে পারে না। ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে ওঠে না। আমি মনে করি বাংলাদেশে ইংরেজি কারিকুলাম পরিবর্তন করা দরকার।
যারা অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে ইংরেজিতে সব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে। বৈশ্বিকভাবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে ইংরেজির বিকল্প নেই। নেলসন ম্যান্ডেলার একটি উক্তি আছে, ‘If you talk to a man in a language he understands, that goes to his head. If you talk to him in his own language, that goes to his heart’। অর্থাৎ আপনি যদি একজন মানুষের সঙ্গে সে বোঝে এমন ভাষায় কথা বলেন, সেটা তার মস্তিষ্ক পর্যন্তই পৌঁছায়। আপনি যদি তার সঙ্গে তার নিজের ভাষায় কথা বলেন, তা তার হৃদয়ে পৌঁছে যায়। আমাদের পক্ষে পৃথিবীর সব ভাষা শেখা সম্ভব না। কিন্তু সবার সঙ্গেই ইংরেজিতে যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করি ইংলিশ অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেবে। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে সহায়তা করবে।
ফাতিহা আয়াত: গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর, ইংলিশ অলিম্পিয়াড