রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, গেটে তালা

এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ৭ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, আমাদের রেজিস্ট্রেশন হবে না। আমরা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে, শিক্ষকরাই রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তারা স্কুল গেটে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন এবং স্কুল প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা খুলতে হলে প্রথমে ম্যানেজিং কমিটি, এরপর শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বোর্ড অব গভর্নর এবং সবশেষে সিন্ডিকেটের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু শেখ রাসেল মডেল স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তা না মেনে শুধু বোর্ডের অনুমতি নিয়ে গত ২৭ জুলাই ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয়। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ৩০ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও তিনমাস ধরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। তবে কলেজ সেকশনে তাদের কোনো শিক্ষক নেই। এছাড়া ১০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর পর তাদের রেজিষ্ট্রেশনের সময়ও এরই মধ্যে শেষ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভর্তি প্রক্রিয়ার পর তিন মাস পার হলেও ক্লাস শুরু হয়নি। এমনকি রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হয়ে গেলেও তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।

এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ৭ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, আমাদের রেজিস্ট্রেশন হবে না। আমরা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে, শিক্ষকরাই রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবে আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আক্তার বানু ম্যাডামের পদত্যাগ চাই।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অংশ নেন। এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, '১০০ জন শিক্ষার্থীর এক বছর নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। ভর্তির পর সমস্যা থাকলে তাহলে অন্য কলেজে কেন ট্রান্সফার করা হলো না?'

এ বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সায়েদা দিলরুবা বলেন, এখানে আমার হাতে কিছু নেই। এটি ইনস্টিটিউট, উচ্চপর্যায়ের বিষয়। গতকালও শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা বসেছিলাম। রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া আর ট্রান্সফারের বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও স্কুলের পরিচালক ড. আক্তার বানু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও