টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী সেতুর সংযোগ সড়ক আবারো ভেঙে গেছে। সেতু দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন ও নাগরপুরের ভাড়রাসহ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানির স্রোতে গতকাল ভোরে সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের ধলেশ্বরী সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কটি ভেঙে যায়। গত বছরও একই স্থানে সড়কটি ধসে পড়ে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করে এলজিইডি। ফলে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুরের ভাড়রাসহ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী ইউনিয়নে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। তবে সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে প্রতি বছরই বর্ষায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের সংযোগ সড়ক ধসে যায়। যদিও তখন জিও ব্যাগ ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িকভাবে সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছরই ধলেশ্বরী সেতুর পাশে বালি উত্তোলন করা হয়। এ কারণে বন্যা হলেও ঝুঁকিতে পড়ে সেতুর সংযোগ সড়ক। সেতু দিয়ে হুগডা, কাকুয়া, মাহমুদনগর, পোড়াবাড়ি ও কাতুলী, নাগরপুরসহ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী ইউনিয়নের মানুষও চলাচল করে।
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেয়। গতকাল ভোরে পুরো রাস্তাটি ভেঙে গেল। কয়েক দিনেও যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিত, তাহলে পুরো সড়ক এভাবে ধসে পড়ত না।’
এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, সড়কটি যেহেতু এলজিইডির, তাই বিষয়টি তাদের প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, ‘পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’