কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে দুষ্কৃতকারীদের নৌকার ধাক্কায় ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) মরদেহ দুদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আরেকজন এএসআই সদরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা পদ্মার শিলাইদহ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। গত সোমবার ভোররাতে তারা নিখোঁজ হন।
নিহত এএসআইয়ের নাম মুকুল হোসেন, তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুরের কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা এবং প্রয়াত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
কুষ্টিয়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৮টার দিকে পাবনা-নাজিরগঞ্জ টার্মিনাল সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি।