আড়াই মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে আলু আমদানি

দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আড়াই মাস পর আবারো আলু আমদানি শুরু হয়েছে।

দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আড়াই মাস পর আবারো আলু আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৪৭ টন আলু আমদানি হয়। এতে দেশের বাজারে আলুর দাম কমে আসবে বলে দাবি আমদানিকারকদের।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‌আলু আমদানিতে শুল্ক ছিল। এছাড়া ভারতে আলুর দাম বেশি থাকায় আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন তারা। সম্প্রতি দেশের বাজারে আলু সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুল্ক কিছুটা কমিয়েছে সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আলু আমদানির ওপর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভারতে আলুর যে বাজারদর, তাতে আমদানিকারকদের কিছুটা লাভ হবে। এজন্য আবারো আলু আমদানির তৎপরতা শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। গতকাল প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামে এক আমদানিকারক আলু আমদানি করেছেন। আমারও আলুবাহী ট্রাক ভারতে পাইপলাইনে রয়েছে, যা আজ দেশে ঢুকতে পারে। দেশের বাজারে আমদানীকৃত আলুর চাহিদা থাকলে এবং দাম ভালো পেলে পর্যায়ক্রমে আরো আমদানিকারক আলু আমদানি শুরু করবেন। আমদানীকৃত এসব আলু ৪০-৪২ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে পারে। দিন যত যাবে আমদানি বাড়বে, এতে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমে আসবে।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘বন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ৮ জুলাই ভারত থেকে আলু আমদানি হয়েছিল। এরপর আমদানি বন্ধ ছিল। আমদানির অনুমতি থাকলেও লাভ না হওয়ায় মূলত আমদানিকারকরা আলু আমদানি করছিলেন না। তবে ৫ সেপ্টেম্বর শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার। এরপর আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে অনেক আমদানিকারক আবেদন করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন আমদানিকারক কয়েক হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আড়াই মাস পর গতকাল আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি হয়েছে। তবে নতুন করে কেউ আমদানির আবেদন করেনি। যদি কেউ আবেদন করেন, তবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে সনদ দেয়া হবে। তারপর তারা বন্দর থেকে আমদানীকৃত আলু ছাড়করণ করতে পারবেন।’

আরও