গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে গাজীপুর ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন নামে একটি সংগঠন। গতকাল সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত জয়দেবপুর জংশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে ১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। টঙ্গী, ধীরাশ্রম, গাজীপুর, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে।
আন্দোলনকারীরা জানান, জয়দেবপুর স্টেশনে সব ট্রেনের স্টপেজ, ঢাকা-গাজীপুর ট্রেনের বন্ধ রাখা মাসিক টিকিট, টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালুসহ রেল যোগাযোগ উন্নয়নের ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। জয়দেবপুর রেলস্টেশন রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকলেও যাত্রীসেবা নিম্নমানের। জয়দেবপুর-কমলাপুর ও মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোয় কমবেশি এক লাখ কর্মজীবীর প্রাত্যহিক যাতায়াত করেন। এছাড়া জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ২০-২৫ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। সড়ক পথের ভোগান্তির কারণে ট্রেনে যাত্রীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। অথচ অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। পূর্ববর্তী সময়গুলোয় শতচেষ্টার পরও কোনো বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যাত্রীদের বিড়ম্বনা দিন দিন আরো বাড়ছে।
১০ দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে গাজীপুর-ঢাকা বন্ধ রাখা মাসিক টিকিট ৪৫০ টাকা পুনরায় চালু করা। তুরাগ ট্রেনে চারটি মহিলা কোচসহ ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা একাধিকবার চালানো। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্র্রেন পুনরায় চালু এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা। যাত্রীসংখ্যা ও রাজস্ব আয় বিবেচনা করে গাজীপুরে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত এবং আসনসংখ্যা ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা। ভাড়ায়চালিত সব ট্রেনের ইজারা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা। গাজীপুর থেকে আসনবিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ, টিকিটপ্রাপ্তি সহজ ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা। যাত্রী চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ঈশা খাঁ, ভাওয়াল ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোকে দুই-তিনটি কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। সব ট্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্রেন ও প্লাটফরম হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত রাখা। ঢাকা-গাজীপুর রেল প্রকল্প দ্রুত শেষ এবং জয়দেবপুর জংশন স্টেশনকে ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর স্টেশনসংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা।