সারা দেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নিশ্চিত করতে প্রকল্প নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়েও ২৭৯টি বীর নিবাস বরাদ্দ হয়েছে। তবে জমি জটিলতায় ২৫টি ঘর নন লে-আউট হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তবে বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হলেও নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। যদিও এ ঘটনায় দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন।
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, বীর নিবাস পেয়েও দুর্ভোগে পড়েছেন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে একঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন তারা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বেঁধে দেয়া অতিরিক্ত সময় চলে যাওয়ার পরও এখনো ঘরগুলো বুঝিয়ে দিতে পারেনি তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ে ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নাম দেয়া হয় বীর নিবাস। উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২৭৯টি ঘর। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এগুলোর মধ্যে তিন ধাপে টেন্ডার দেয়া হয় ২৬৯টি ঘরের। তবে জমি জটিলতায় ২৫টি ঘর নন লে-আউট হয়। বাকিগুলোর মধ্যে ২০৫টি ঘরে পাম্প বসানো হয়েছে। লিন্টেল সম্পন্ন হয়েছে ১০টির। ফিটিংস চলমান ১৪টি বীর নিবাসের। ফিটিংস শেষ হয়েছে ৮১টির। ফিনিসিং চলছে ১০০টি ঘরের। তৃতীয় ধাপে আরো ৩৯টি ঘর নির্মাণের জন্য ঠিকারদার নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বীর নিবাস নির্মাণের জন্য ২৫টি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে এসব প্যাকেজের কাজ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো মেয়াদও শেষ হয়েছে। যদিও ঘরগুলো এখনো বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি মাহফুজা জেরিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদুল আজহা পর্যন্ত সময় নিয়েছে। যদি এ সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে না পারে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’