দ্রুততম সময়ে জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবন সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো এ অবরোধ চলে।
অবরোধ চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান শাহরিয়ার বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মাত্র ২ মাসের মাথায় খুনী ও তার দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ঢাকাসহ পুরো দেশে খুনীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের এক সহযোদ্ধার ওপর গতকাল হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, অতিদ্রুত জুলাই অভ্যুত্থানের হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে এই সরকারকেও ক্ষমতা থেকে নামাতে আমাদের সময় লাগবে না।
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাই হামলাকারীদের বিচার অতিদ্রুত নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল বাপ্পি বলেন, সরকার হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেটা ভুলে গেছে। সরকার গঠনের আড়াই মাসেও হামলাকারীদের বিচার নিয়ে সরকার গড়িমসি করছে, কেন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ তাদের যত অঙ্গসংগঠন আছে সব সংগঠনকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসান এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার আলম আরমান নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন।