বান্দরবানে পাহাড় কেটে ভরাট করা হচ্ছে কৃষিজমি

পাহাড় কাটা ও কৃষিজমি ভরাট নিষিদ্ধ হলেও সরকারি এ বিধান মানা হচ্ছে না বান্দরবানে।

পাহাড় কাটা ও কৃষিজমি ভরাট নিষিদ্ধ হলেও সরকারি এ বিধান মানা হচ্ছে না বান্দরবানে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

বান্দরবান পৌরসভার সিদ্দিকনগর ঘেঁষা রাজারঘোনায় কাটা হচ্ছে একটি পাহাড়। সেখানকার মাটি নিয়ে ফেলা হচ্ছে বান্দরবান জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ থানজামা লুসাইয়ের কৃষিজমিতে। পাহাড় কাটা শ্রমিকদের ‘মাঝি’ (পরিচালনাকারী) জহির নামে এক ব্যক্তি জানান, পাহাড়টি কাটা শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ থানজামা লুসাইয়ের স্ত্রী ও বান্দরবান উইমেন চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি লালসানি লুসাইয়ের নির্দেশে তাদের কৃষিজমিটি ভরাট করা হচ্ছে সেই মাটি দিয়ে।’

গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, রাজারঘোনা এলাকার একটি পাহাড়ের পাদদেশের কিছু অংশ টিনের বেড়ায় ঘিরে কোদাল দিয়ে কাটছেন ১২ শ্রমিক। সেই মাটি তোলা হচ্ছে পাশে থাকা একটি ডাম্পার ট্রাকে। কতটুকু পাহাড় কাটা হবে তাও দড়ি দিয়ে চিহ্নিত করা রয়েছে। এছাড়া পাশেই আরো দুই জায়গায় কাটা হয়েছে পাহাড়টি।

শ্রমিকরা জানান, যে অংশটি কাটা হচ্ছে তার মালিক মহিম নামে এক ব্যক্তি।

তবে পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে কোনো কৃষিজমি ভরাট করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন লালসানি লুসাই। তিনি বলেন, ‘ওই জমিটি আগে থেকেই ভরাট করা ছিল। একটি রাস্তা করার জন্য ওই মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নতুন পাহাড় কাটা স্থানটি পরিদর্শন করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এছাড়া ওই এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে এরই মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা।

আরও