গত ক’দিনের ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার পাচঁটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। চার উপজেলায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য খোলা হয় আশ্রয় কেন্দ্র।
এ সময় বন্যা কবলিত এলাকায় ২১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ২৩৫ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নেত্রকোনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ মহল বলেন,চলমান একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা অন্য কোনো কারনে বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ওপর এই প্রভাব বেশি পড়ে। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়ালেখার চাইতে প্রতিষ্ঠানে মনোযোগী হয় বেশী।বিদ্যালয় কয়েক দিন বন্ধ থাকলে শিশুরা মনযোগ হারিয়ে ফেলে।
নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন জানান, বন্যার কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানি ঢুকে পড়ায় চার উপজেলায় ১৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় পরবর্তীতে আর একটি উপজেলায় ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান,বৃষ্টি ও ঢলের কারনে সৃষ্ট বন্যায় জেলার পাচঁ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ওই সমস্ত বন্যা কবলিত গ্রামের অনেক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ত্রান সামগ্রি দেয়া হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্নবাসন করা হবে।
বন্যার কারণে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বন্যার পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতি এখন অনেকটা উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে যে ২৩৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয় তা অচিরেই চালু করা হবে।