যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে তাকে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদ সিন্ডিকেট সদস্য হওয়ায় সাদিকুল ইসলামের পক্ষ নিয়েছেন। এজন্য সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে ৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা আইন অনুষদের ডিনের পদত্যাগও দাবি করেন।
গতকাল বিকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা জানান, সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলেন তারা। তবে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদ সিন্ডিকেট সদস্য হওয়ায় সাদিকুল ইসলাম সাগরের পক্ষ নিয়েছেন।
আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুরশিদুল ইসলাম পিটার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাদিকুল সাগরের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। এর পরও ভিসি, প্রো-ভিসি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আইন বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং যাছাই-বাছাই ও পরীক্ষা করে যৌন নিপীড়নের যে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়েছে। এটিকে ভালোভাবে তদন্ত করার জন্য যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। সাদিকুল সাগরকে পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। ভিসি, প্রো-ভিসি না থাকলেও দপ্তরগুলো ঠিকই ছিল। যৌন নিপীড়ন সেল থাকলেও সেখানে সদস্যরা নেই। আমি উপাচার্য স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ফিরে এসে প্রথম কার্যদিবসের মধ্যেই যৌন নিপীড়ন সেল নতুন করে তৈরি করার কথা জানিয়েছেন।’
তবে এ বিষয়ে জানতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদের সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানি না।’