মুন্সিগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনায় ডাকাত চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৭ লাখ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পুলিশ পরিচয়ে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪৭ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতির ঘটনায় স্বয়ংক্রিয় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রনি (৪৮), সিরাজুল ইসলাম জাবেদ (৪২), শামিম (৪২), সায়মন (৩২), মমিন (৪২), সুজর (৩০), সমির হোসেন (৪২)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৭ লাখ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।

তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর রামপ্রসাদ হালদার নামের ভুক্তভোগী এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী যাত্রীবাহী বাসে করে ঢাকা থেকে বান্দুরা এলাকায় নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সিরাজদিখানে ঢাকা-দোহার সড়কের মরিচা এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা বাসে ওঠে। পরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছে থাকা নগদ ৪৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়।

এ ঘটনায় একই দিন রাতে সিরাজদিখান থানায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় জড়িতদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সবাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার। পরে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৭ লাখ টাকা ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্রের মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।

এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত বাকি মালামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও