পঞ্চগড়ে মাটির বদলে সড়কে বালি ভরাট

পঞ্চগড়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনের সড়কে মাটি ভরাটের জন্য চলতি বছর দরপত্র আহ্বান করা হয়।

পঞ্চগড়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনের সড়কে মাটি ভরাটের জন্য চলতি বছর দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১৬ লাখ ৮ হাজার ৫৭৫ টাকার কাজটি পায় এসএস এন্টারপ্রাইজ। কার্যাদেশে মাটি উল্লেখ থাকলেও সড়কটি ভরাট করা হয়েছে বালি দিয়ে। গত জুনে শুরু হওয়া কাজটি তিন মাসের মধ্যে শেষ করা কথা ছিল। তবে চার মাস পার হলেও এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসএস এন্টারপ্রাইজ একমাত্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। চলতি বছরের ২৩ জুন কার্যাদেশ দেয়া হয়। ২ হাজার ৩৪৮ দশমিক ২৮৬ ঘনমিটার মাটি তিন মাসের মধ্যে ভরাটের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। ২৪ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ টাকা বিল দেয়া হয়।

নাম অপ্রকাশ রাখার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার বলছেন, পঞ্চগড়ে বালি স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। মাটির চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে বালি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত লাভের আশায় এসএস এন্টারপ্রাইজ মাটির বদলে বালি ভরাট করলেও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নজরদারি নেই।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী গোলাপ হোসেন বলেন, ‘কাজটির চুক্তিমূল্য এ মুহূর্তে আমি মনে করতে পারছি না। কয়েক কোটি টাকার কাজের মধ্যে ছোটখাটো এ কাজের তথ্য আমার জানা নেই।’

কাজ শুরু না করেই বিল উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে সরকারের কাছ থেকে বিল নিয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে জমা করেন। তবে আমি এখন পর্যন্ত ৭ লাখ টাকার মতো পেয়েছি। কাজটির চুক্তিমূল্য আমার মনে নেই, কারণ আমি নিজে কাজটি করছি না। বিল প্রদান হয়েছে আমার নামে, কিন্তু আামাকে এক মাস পর চেক দিয়েছেন প্রকৌশলী। মঈন উদ্দিন নামে পঞ্চগড়ের একজন ঠিকাদার কাজটি করছেন। যদি কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়, তাহলে অতিরিক্ত সময়ের জন্য আবেদন করা হবে।’

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পঞ্চগড় জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের সহকারী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। শিডিউল অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

মাটির বদলে কেন বালি ভরাট হচ্ছে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী সুজাবত আলী বলেন, ‘আসলে মাটির চেয়ে বালি ভালো। পঞ্চগড়ের বালি সহজলভ্য, এজন্য হয়তো ঠিকাদার মাটির পরিবর্তে বালি ভরাট করছেন।’ 

আরও