দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে মহিষের খামার। কোরবানি উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মহিষ মোটাতাজা করা হচ্ছে খামারে। মহিষের খামার বেশ লাভজনক। প্রোটিনের একটি অংশ আসে এ খাত থেকে। খামারের মাধ্যমে সহজে যে কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে বলে জানান হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
হিলি সীমান্তের ক্যাম্প পট্টিতে মা হাজেরা বিবি এগ্রো নামে খামারটি গড়ে তুলেছেন সুমন মিয়া। কোরবানির জন্য খামারটিতে মোটাতাজা করা হচ্ছে ১৩৮টি মহিষ। এর মধ্যে বুলডোজার নামে একটি মহিষের ওজন ১ হাজার ৩০০ কেজি। আর বিগবস নামে আরেকটির ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি। দুটি মহিষের দাম ধরা হয়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। ভারত থেকে অবৈধপথে মহিষ আমদানি না হলে ভালো লাভবান হওয়ার আশা খামারির।
খামারে মহিষ দেখতে আসা ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা রাজশাহী থেকে হিলিতে মহিষ কিনতে এসেছি। শুনেছি হিলিতে মহিষের বড় খামার গড়ে উঠেছে। যদি দরদামে মিলে যায় তাহলে দুই-চারটা মহিষ কিনে নিয়ে যাব।’
খামারি সুমন মিয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পশুপাখি পালনে বেশ আগ্রহ ছিল। তাই চাকরি বা ব্যবসা না করে গরু-ছাগল লালন-পালন শুরু করেছিলাম। গরুর খমারে লোকসান হওয়ায় সেটি থেকে বেরিয়ে এসে মহিষের খামার গড়ে তুলেছি। মহিষের রোগবালাই অনেকটা কম হয়। এ কারণে ক্ষতির পরিমাণ কম। কোরবানি ঈদে অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু আসায় ভালো দাম পাওয়া যায় না। এ কারণে মহিষের খামার করেছি। তবে গো-খাদ্যের যে দাম, তাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে সরকার যদি ভারত থেকে গরু, মহিষ আসা বন্ধ করে, সেক্ষেত্রে আমরা ভালো দাম পাব।’
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাছরিন খাতুন বলেন, ‘হিলিতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মহিষের খামার গড়ে উঠেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত খামারটি পরিদর্শন করা হচ্ছে। খামারিকে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কীভাবে মহিষগুলো মোটাতাজা করা হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খামারটি সম্প্রসারণ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে। অন্য কেউ যদি মহিষের খামার গড়ে তুলতে চায়, সেক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’