ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বিআইজিডি

জরিপ ফলাফল কি সবসময় ক্ষমতাসীনদের তুষ্ট করছে?

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর অন্যতম ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সে সময় ভোটগ্রহণের আগের রাতে পুলিশের সহযোগিতায় ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি দেশ-বিদেশে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিও সে সময় বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন,

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর অন্যতম ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সে সময় ভোটগ্রহণের আগের রাতে পুলিশের সহযোগিতায় ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি দেশ-বিদেশে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিও সে সময় বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‌আমি শুনেছি, পুলিশের কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। আমি অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্তের কথা শুনিনি।’ এমনকি খোদ তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাও মার্চে ভোটগ্রহণে ইভিএম চালুর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এটি চালু হলে রাতে ব্যালট ভরার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

ওই নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নতুন করে শপথ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তৎকালীন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এরপর দেশে ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গুম-খুনের মতো অপরাধও বেড়ে যায়। আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতসহ নানাবিধ অপরাধ। অর্থনীতিকে চাপে ফেলছিল ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি-অপরাধ ও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু। 

২০১৯ সালে দেশের রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতি নিয়ে দেশের মানুষের মনোভাব কেমন ছিল সে বিষয়ে এক যৌথ জরিপ চালায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও এশিয়া ফাউন্ডেশন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে করা ওই জরিপের ফলাফল প্রকাশ হয় একই বছরের জুলাইয়ে। এতে দেখা যায়, বিতর্কিত নির্বাচনের পরের বছর ২০১৯ সালে দেশের ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের বিশ্বাস ছিল, রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে চলেছে বাংলাদেশ! আর সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ সঠিক পথে ছিল মনে করছিলেন যথাক্রমে ৭৭ ও ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ। 

অর্থনীতি-রাজনীতি ও সমাজে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর প্রতিবেদনটি তৎকালীন শাসক দলকে আরো উজ্জীবিত করে তোলে। বিভিন্ন সময় বিআইজিডির এমন একক ও যৌথ গবেষণা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, এগুলোয় শাসকদের তুষ্ট করার প্রবণতাটাই দেখা গেছে বেশি। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ২০২২ সালের মধ্যে সবগুলো সূচকেই এ পরিস্থিতি আরো চরমে পৌঁছায়। রাজধানী ঢাকায় গড় মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় দুই অংকের ঘরে। ব্যাংক ও আর্থিক খাত ছিল বিপর্যস্ত। আত্মসাৎ ও দেশ থেকে পাচার হচ্ছিল হাজার হাজার কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছিল রিজার্ভের সংকট। বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করছিল নিবর্তনমূলক আইন ও সরকারি নজরদারি। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল প্রতিহিংসা-গুম-আয়নাঘরের মতো বিষয়। 

অসহিষ্ণুতা যখন চরমে, তেমন পরিস্থিতিতেও বিআইজিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে দেশের ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ মনে করেছেন সামাজিকভাবে দেশ সঠিক পথে রয়েছে। বিপরীতে ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন সামাজিকভাবে দেশ সঠিক পথে নেই। একই দেশের রাজনীতি সঠিক পথে চলছে বলে মনে করেছেন ৩৯ শতাংশেরও বেশি মানুষ। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের জরিপের প্রশ্নগুলো এমনভাবে তৈরি হয়; যাতে প্রশ্নের ধরনে উত্তরদাতার জবাব অনেকটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এতে অনেক সময় কনফারমেশন বায়াসনেস বা পক্ষপাতমূলক নিশ্চিতকরণের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের প্রাক্তন শিক্ষক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জনমত জরিপের জন্য তথ্য এবং সংগৃহীত উত্তর বিভিন্ন কারণে পক্ষপাতমূলক হতে পারে। নমুনা সংগ্রহ ও নির্ধারণের পদ্ধতি এবং নমুনার আকার এগুলোর সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি যে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হচ্ছে তার ধরন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ কি না হবে; নাকি শূন্য থেকে ১০০-এর মধ্যে রেটিং হবে নাকি ওপেন এন্ডেড হবে; এগুলো সবই ভূমিকা রাখতে পারে। সে কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয়ে, জরিপের ফল যেখানে সেনসেশনালাইজেশনের সম্ভাবনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অত্যাবশ্যকীয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় না। অনেক সময় খুব দ্রুত মতামত দেয়ার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হয় না। ফলে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠে থাকে।’

এক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের মানসিক অবস্থাও অনেকাংশে প্রভাব ফেলে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক এবং বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না বিআইজিডি কোনো রকম নয়-ছয় করবে। অনেক বিষয় পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তখন ভয়ের সংস্কৃতি বিরাজ করছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ভয়ানক অবস্থা ছিল। ভয়ের কারণেই হয়তো অনেকে ওভাবে উত্তর দিয়েছে। আমি মনে করি না যে ওটা গবেষকদের ইচ্ছাকৃত।’

বিআইজিডির জরিপগুলোয় ক্ষমতাসীনদের সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ফলাফল উঠে আসার এ প্রবণতা এখনো বজায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর বিআইজিডি পরিচালিত ‘‌‌পালস সার্ভে ২০২৪: জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শিরোনামে জরিপ প্রকাশ করা হয়। সমীক্ষায় রাজনীতি ও আর্থসামাজিক বিভিন্ন দিকে বাংলাদেশী নাগরিকদের উপলব্ধি জানতে চাওয়া হয়। এজন্য টেলিফোন-সমীক্ষার মাধ্যমে দেশের সব জেলার মোট ২ হাজার ৩৬৩ জন নারী-পুরুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 

জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭১ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে এবং ১২ শতাংশ বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ভুল পথে রয়েছে। ৪৩ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী। হতাশা প্রকাশ করেছেন ৪১ শতাংশ। অনুরূপভাবে দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের গতিপথ সম্পর্কে জানতে চাইলে ৬০ শতাংশ বলেছেন, দেশ সঠিক পথে যাচ্ছে এবং ২৭ শতাংশ বলেছেন, দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। 

২০২৪ সালের এ জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে দুটি প্রশ্ন ছিল। একটি হলো এ সরকারের মেয়াদ নিয়ে কোন বক্তব্যটির সঙ্গে একমত পোষণ করেন? এখানে দুটি অপশন দেয়া হয়। প্রথমটি হলো যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়া। দ্বিতীয়টি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে যত দিন প্রয়োজন ক্ষমতায় থাকা। ফলাফলে বলা হয়, ৮১ শতাংশ মানুষ চান যে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার সম্পন্ন করার জন্য যত দিন প্রয়োজন, তত দিন ক্ষমতায় থাকুক। আর ১৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অতিদ্রুত নির্বাচন দিয়ে সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া উচিত।

এ জরিপ প্রকাশের পরদিনই এর কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক সভায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‌‌একটি জরিপে বলেছে ৮০ শতাংশ লোক চায় যে যতদিন খুশি এ সরকার থাকবে। আমি জানি না এ কথা তারা কোথা থেকে পেল, কীভাবে পেল। কিন্তু জনগণ এটা কোনোদিনই মেনে নেবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌এ জরিপ কে করেছেন, কীভাবে করেছেন, এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জনগণের কাছে প্রশ্ন রয়েছে। নাগরিকদের কাছে প্রধান জরিপ ভোটাধিকার। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। যত দ্রুত সম্ভব গঠনমূলক সংস্কারকাজ শেষে করে নির্বাচনের দিকে যাওয়াই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব।’

তবে সমীক্ষা নিয়ে বিএনপির এ সমালোচনাকে মানতে নারাজ বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মির্জা এম হাসান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘‌বিএনপি না বুঝেই বা অনেকটা ইমোশনালি কথাগুলো বলছে। সরকার যতদিন ইচ্ছা থাক, এমন কথা ৮০ শতাংশ মানুষ বলেনি। সংস্কারের জন্য যতদিন প্রয়োজন এবং সেখানে কতদিন প্রয়োজন; এমন প্রশ্নের উত্তরে কেউ বলেছে ছয় মাস, কেউ এক বছর, কেউ দুই বছর, কেউ তিন বছর। সুতরাং বিএনপির কথা একদমই ভুল।’ 

তিনি বলেন, ‘‌‌২০১৯ সালে মানুষ মনে করেছে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ভালোর দিকে যাচ্ছে। আবার ২০২২ সালে এসে বলেছে একদম খারাপ। আবার ২০২৪ সালে বলেছে আরো খারাপ। সামাজিক বিষয়টি ভুলে যেতে হবে। ওটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। ওটার মানে হচ্ছে মারামারি নেই। হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব নেই। নারীদের প্রতি তেমন সিরিয়াস কোনো ভায়োলেন্স নেই। এগুলোই সামাজিক। এ বিষয় ভুলে যান। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অর্থনীতি ও রাজনীতি। আমাদের ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৪ সালের সার্ভেতে দেখা গেছে; ক্রমাগতভাবে সরকারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পপুলারিটি কমে গেছে।’

তিনি আরো বলেন, এ আন্দোলনের পর মানুষ একটি পরিবর্তন দেখেছে। রাষ্ট্র পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। মানুষ মনে করছে এখন বড় রকম চেঞ্জ আসবে। যেমনটা তাদের পর্যবেক্ষণ, তেমনটা তাদের আকাঙ্ক্ষা, হয়তো এ সরকার এখন ভালো করবে। সেই জন্যই ভালো রেটিং দিয়েছে। আবার মানুষ যখন দেখবে এ সরকার ভালো কাজ করছে না; তখন আবার বাজে রেটিং দেবে। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই।’

শাসকগোষ্ঠীকে তুষ্ট করার জন্য জরিপ প্রতিবেদন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‌কারো পক্ষ বা স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই মানুষ নানা কথা বলবে। এটি একটি সার্ভে, যা আমরা খুবই পেশাদারত্বের সঙ্গেই করি। সারা পৃথিবী আমাদের জানে। সারা বাংলাদেশের লোক আমাদের জানে। আমরা অত্যন্ত সিরিয়াসলি করি। অবজেক্টিভলি করি। আমরা দরকার হলে মেথডোলজিও দেখিয়ে দিতে পারব।’ 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জরিপ প্রতিবেদনে এ সম্পন্নের প্রক্রিয়া বা গবেষণা পদ্ধতি (মেথডোলজি) সম্পর্কে বলা হয়, এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৪ হাজার ৯৬। এতে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের অংশগ্রহণকারী ছিল যথাক্রমে ২৫ ও ৭৫ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর অনুপাত ছিল সমান। আটটি বিভাগ থেকে জনসংখ্যার অনুপাতের ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের জনবিন্যাস নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় মাল্টি স্টেজ স্যাম্পলিং মেথড বা বহুস্তরীয় নমুনা চয়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আট বিভাগ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্ধারিত ৩২ জেলার বাসিন্দাদের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। এসব জেলাকে আবার শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলে ভাগ করা হয়। একইভাবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৩২ জেলা থেকে ৪৮ উপজেলা এবং প্রত্যেক উপজেলা থেকে দুটি করে ইউনিয়ন নির্ধারণ করা হয়। এসব ইউনিয়ন থেকে আবারো দৈবচয়নের ভিত্তিতে দুটি করে গ্রাম বা মহল্লা নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যেক গ্রাম বা মহল্লায় মোট ১৬ জনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। তাদের মধ্যে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ। সব মিলিয়ে সারা দেশের ১৯২ গ্রাম থেকে গ্রামীণ নমুনা ও ৬৪ মহল্লা থেকে শহরাঞ্চলীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। 

আরও