রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই

মেহেরপুরে ক্লিনিক মালিক চিকিৎসক রাজা কারাগারে

বাচেনা খাতুন নামের এক রোগীর পেটে কাঁঁঁচি রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাচেনা খাতুন নামের এক রোগীর পেটে কাঁঁঁচি রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজাকে  জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারিক হাসান ডা. রাজার জামিন নামঞ্জুর করে নির্দেশ দেন।

জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের ২৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের গৃহবধূ বাচেনা খাতুন পিত্তথলির অপারেশন করেন গাংনীর রাজা ক্লিনিকে। বাচেনা খাতুনের অপারেশন করেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা অজ্ঞান করেন ডা. তাপস কুমার। অপারেশনের এক সপ্তাহ পর বাচেনা খাতুনকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু পেটে ব্যথা ভালো না হওয়ায় ২০ বছর যাবত ঘুরেছেন বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে সহায়-সম্বল। অবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্স-রে করানোর সময় তার পেটে সন্ধান পাওয়া যায় অপারেশনকালে ডাক্তারের রেখে দেয়া কাঁচির। বিষয়টি জানাজানি হলে ডা. রাজা চলতি বছরের জানুয়ারি বাচেনাকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। ১০ জানুয়ারি তার অপারেশন করানো হয়। বের করা হয় ২০ বছর আগের রেখে যাওয়া কাঁচি।

বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেন।

আরও