নোয়াখালীতে ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৭৭ রাউন্ড গুলিসহ ৫ জন গ্রেফতার

পুলিশ জানায়, পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে সেনবাগের সেবারহাট বাজারের টহলরত পুলিশ সায়েদ প্লাজার সামনে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। এ সময় ১২ কেজি গাঁজা ও ১০টি অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়।

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকা থেকে ৯টি ম্যাগাজিন ও ৫টি বিদেশী পিস্তলসহ মোট ১৭টি দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে থাকা ১২ কেজি গাঁজা ও ২টি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রথম প্রহরে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়ানী টগবা গ্রামের বড় ভূঁইয়া বাড়ির বাবলুর ছেলে বাদল হোসেন (২১), আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. রবিন (২৮), কুমিল্লা জেলার লালমাই থানার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মুরাদ হোসেন (২২), সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের হাজী বাড়ির সাইফুল আলম মানিকের ছেলে মো. বাহার (৩০) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কামাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬)।

পুলিশ জানায়, পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে সেনবাগের সেবারহাট বাজারের টহলরত পুলিশ সায়েদ প্লাজার সামনে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। এ সময় ১২ কেজি গাঁজা ও ১০টি অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের আকরাম উদ্দিন হাজী বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে নয়টি ম্যাগাজিন, পাঁচটি বিদেশী পিস্তল, দুটি দেশে তৈরি এলজি এবং ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ মো. বাহারকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালী জেলাকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র বিপুল পরিমাণে অস্ত্র-গুলি মজুদ করার চেষ্টা করছে এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। সে তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অস্ত্র ও মাদকের একটি বড় চালান নোয়াখালী জেলায় আসবে। উক্ত তথ্যের আলোকে নোয়াখালী পুলিশ টিম সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সুপার জানান, আসামি বাদল হোসেন, মো. রবিন, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত সব আসামীর বিরুদ্ধে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানায় আলাদা আলাদা মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জেলার সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সব সময় সচেষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার।

আরও