চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহামায়া লেকে কার ও বাস পার্কিয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় ১১৪ শতাংশ জমি। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ জমি দখল হয়ে যায়। রোববার ওই জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। লেকের প্রধান ফটকের ওই জমিতে নির্মাণ হবে কার পার্কিং শেড। এছাড়া লেকের পশ্চিম পাশে ৮৪ শতাংশ জমিতে নির্মাণ হবে বাস পার্কিং শেড। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। এছাড়া লেকের সৌন্দর্য বাড়াতে তথ্য অফিসের সামনে নির্মাণ করা হবে পানির ফোয়ারা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বছর মহামায়ায় কয়েক হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে শীতকালে বনভোজনের গাড়িতে ভরপুর থাকে মহামায়া। কার ও বাস পার্কিংয়ের সুবিধা আগে থাকলেও তা ছিল স্বল্প পরিসরে। নতুন করে কার ও বাস পার্কিংয়ের জায়গা করা হলে পর্যটকরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ মিরসরাই রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই অধিগ্রহণ শেষে ১১৪ শতক জমি মিরসরাই রেঞ্জকে বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন বিভাগ। তবে এতদিন অধিগ্রহণ করা ৩০ শতাংশ জমি বেদখল ছিল। ১৬ অক্টোবর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছর ১ কোটি ৪১ লাখ টাকায় মহামায়া ইকো পার্ক ইজারা নিয়েছে হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। তবে লেকের পানিতে ময়লা ও কচুরিপানায় ভরে গেছে। সম্প্রতি দুই দফায় বিডি ক্লিন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লেক পরিষ্কার করে।
বিডি ক্লিনের মিরসরাই উপজেলা সমন্বয়ক নূর নবী বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের ২০-২৫ জন কর্মী দুই দফায় মহামায়া লেক পরিষ্কার করেছে। এ কাজে বন বিভাগ ও বোট চালকরা আমাদের সহায়তা করেছেন।’
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহান শাহ নওশাদ বলেন, ‘প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে মহামায়া ইকো পার্ক এলাকায় কার ও বাস পার্কিং নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’