কুষ্টিয়ার
ট্রিপল মার্ডারে অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই সৌমেন কুমার রায় আদালতে দোষ স্বীকার
করেছেন। প্রচণ্ড রাগের মাথায় তিনি এ কাজ করেছেন বলে দাবি করেন। তবে সাত বছরের
শিশুটিকে হত্যার জন্য অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন।
সোমবার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সৌমেন । জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর নিদের্শ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়ার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান জানিয়েছেন, তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সৌমেনকে
আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা
হয়েছে।
আদালতে
সৌমেন নিজেকে নিহত আসমার স্বামী দাবি করে বলেছেন, আসমাকে দু’বছর আগে বিয়ে করেন। তিনি যথাসময়ে
আদালতে এর প্রমাণাদি হাজির করবেন।
পুলিশ
জানায়, শাকিলের সঙ্গে আসমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে
বলে সন্দেহ ছিল সৌমেনের। ঘটনার দিন তিনি আসমাকে বারবার জিজ্ঞেস করেছিলেন শাকিলের
সাথে তার কি সর্ম্পক। যখন আসমা এসব বিষয়ে নীরবতা পালন করছিল তখন তিনি “সবগুলোকেই শেষ করে দেব” বলে পিস্তল বের করে গুলি করেন তিনি।
এ
ঘটনায় নিহত শাকিলের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে রোববার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায়
একটি মামলা করেছেন। আরেকটি মামলা করেন আসমার মা হাসিনা খাতুন। উভয় মামলাতেই একক
আসামী সৌমেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এএসআই সৌমেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে
সার্বিক বিষয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান বণিক বার্তাকে জানান, অভিযুক্ত সৌমেনের বিরুদ্ধে আইনিসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি বহন করায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের
কাস্টমস অফিসের সামনে প্রকাশ্য গুলি করে তিনজনকে হত্যা করেন পুলিশের এএসআই সৌমেন
কুমার রায়। সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়।
একসময় তিনি কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন।