দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধের পর নন-বাসমতী চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে রফতানি শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ। পাশাপাশি প্রতি টন চালের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯০ ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার কিছু বেশি)।
এ বিষয়ে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিটিএফ) এক নোটিফিকেশনে বলা হয়, ‘নন-বাসমতী সাদা চালের (সেমি-মিলড, মিলড, পলিশ করা বা ছাড়াসহ সব ধরনের) রফতানি নীতিতে সংশোধন এনে তা নিষিদ্ধ থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। এক্ষেত্রে প্রতি টন চালের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য হবে ৪৯০ ডলার। এ আদেশ জারির পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের ভারতীয় অংশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার বলেন, ‘চালের ওপর থেকে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ রফতানি শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। এমন একটি খবর জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিফিকেশন হিলি কাস্টমসে আসেনি। আসার পর বোঝা যাবে আসলে চাল রফতানি শুরু হবে কিনা।’
চালের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত ও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বছরের জুলাইয়ে নন-বাসমতি চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। একই সঙ্গে চালের ওপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করা হয়।
হিলি স্থলবন্দরকেন্দ্রিক চাল আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে এখন চাল আমদানিতে সাড়ে ৬২ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা রয়েছে। ফলে ভারত উন্মুক্ত করে দিলেও এখনই অবাধে চাল আমদানি শুরু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন অবাধে চাল আমদানির সুযোগ নেই। চাল আমদানি করতে হয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে। সেই সঙ্গে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ নির্ধারণ করা রয়েছে।’