বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড়

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে পর্যটক।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে পর্যটক। ঈদের পরদিন আশানুরূপ পর্যটকের আনাগোনা না থাকলেও তৃতীয় দিনে ভিড় কিছুটা বেড়েছে। গতকাল সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট-বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে মেতে ওঠে পর্যটক।

সমুদ্রসৈকত ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে কুয়াকাটায়। এর মধ্যেও তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকতসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল ও মোটেলগুলোয়। বিক্রি বেড়েছে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। ঈদের দিন থেকে পর্যটক না এলেও গতকাল থেকে আনাগোনা বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে এ বছর আশানুরূপ পর্যটক আসেনি বলে মনে করেন তারা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘ঈদের শুরুতে তেমন আনাগোনা না থাকলেও এখন থেকে টানা পর্যটক আসবে কুয়াকাটায়। ট্যুর অপারেটররা প্রস্তুত আছেন সেবা দেয়ার জন্য।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘প্রতি বছর এ সময় আমাদের অধিকাংশ হোটেল ও রিসোর্টগুলোর রুম বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বুকিং আছে। শুক্র ও শনিবার হয়তো শতভাগ বুক হয়ে যাবে।’

আরও