জি এম কাদের

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে

জি এম কাদের বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেয়া হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।

আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ২০০৮ সালের নবম সংসদ থেকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভূমিকা তুলে ধরেন। জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচনে নেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

জি এম কাদের বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেয়া হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও তারা একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে। এটা কি সরকারকে বৈধতা দেয়া হয়নি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনও আমরা করতে চাইনি, জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেকে দেখেছেন এবং জানেন।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে আমরা কী রাজনীতি শুরু করেছি। আমি রাজনীতি করব আমার দল নিয়ে। আমার দল বিবেচনা করবে আমি কার সঙ্গে যাব। আমি বিবেচনা করব আমি কার সঙ্গে যাব না। আমার দল বিবেচনা করবে আমি নির্বাচনে যাব, আবার বিবেচনা করবে আমি নির্বাচনে যাব না। এখানে জোর করা হচ্ছে এবং জোর করা হচ্ছে দুদিক থেকেই। খালি শেখ হাসিনা জোর করেছে, তা তো নয়। তার রেশ এখন পর্যন্ত চলছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি জি এম কাদের সুবিবেচনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আপনি তো আমাদের, দেশের অভিভাবক। আপনি আমাদের সমান চোখে দেখেন। আমরা সবাই আপনার সন্তান। দোষ-ত্রুটি সবারই থাকে। দোষ-ত্রুটি থাকলে সেভাবে বিচার-আচার করে শাস্তি দেন, আবার কোলে তুলে নেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার, শেরীফা কাদেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও